ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত
১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসের আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মতিলাল বণিক, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির, ব্রাহ্মনবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, অনুশীলন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সংগঠক আবুল খায়ের প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ জগদ্দল পাথরের মতো জাতির বুকে চেপে বসে ছাত্র সমাজের উপর অগণতান্ত্রিক মজিদ খান শিক্ষা নীতি চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। প্রতিবাদে লড়াকু ছাত্র সমাজ রাজপথে নেমে আসে। এর ধারাবাহিকতায় তিরাশির ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার এরশাদের পেটোয়া পুলিশের গুলিতে জয়নাল, জাফর, কাঞ্চন, দীপালি সাহাসহ আরো অনেকে শহীদ হন। তাদের রক্তের সিঁড়ি বেয়েই ১৯৯০ এর ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটে। পরবর্তীতে ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন পালন করলেও কয়েকবছর না পেরোতেই সুপরিকল্পিতভাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে দিবসটিকে মুছে ফেলতে জাতিকে ইতিহাস বিমুখ করার ষড়যন্ত্র চলছে।
বক্তারা আরো বলেন, ইতিহাস চর্চা না করলে, ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ না করলে কোনো জাতি তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারে না। যে ১৪ ফেব্রুয়ারির শিক্ষানীতি বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দাবানলের মত সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল তা ভুলে যাওয়া জাতির জন্য আত্মঘাতির সামিল।
বক্তারা ওই দিনের শহীদসহ সমস্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সঠিক ইতিহা চর্চার প্রতি গুরুত্বারূপ করেন।