সুষ্ঠু পরিবেশে শিশুদের মননশীল বিকাশে চিনাইর শিশু মেধবৃত্তি ফাউন্ডশেন বিশেষ ভূমকিা পালন করেছে : উবায়দুল মোকতাদরি চৌধুরী এমপি ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৪তম শিশু মেধা বৃত্তি পরীক্ষা
উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে গতকাল শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৪তম শিশু মেধা বৃত্তি পরীক্ষা। চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশন আয়োজিত মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় এ বছর জেলার ৯টি উপজেলার ৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ১ হাজার ৪১২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর ৩১৪ জন, দ্বিতীয় শ্রেণীর ২৮৩ জন, তৃতীয় শ্রেণীর ২৮৫ জন, চতুর্থ শ্রেণীর ২৪৪ জন ও পঞ্চম শ্রেণীর ২৮৬ জন। সকাল ১১টায় চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজ ও চিনাইর আঞ্জুমানআরা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আনোয়ার হোসেন, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইয়ামিন চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক ও চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মকবুল আহাম্মদ পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, শিশুদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত, শিশুদের মেধা ও মনন বিকশিত করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষা চালু করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (গ্রেড-১) প্রফেসর ফাহিমা খাতুন চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ মকবুল আহাম্মদের সদস্য সচিব।
পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি এবং প্রফেসর ফাহিমা খাতুন প্যান্ডেলে গিয়ে অভিভাবকদের সাথে কুশল বিনিময় করেন ও তাদের খোঁজখবর নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পীসহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।