ব্রাহ্মণবাড়িয়া কি মগের মুল্লুক? ছেলেকে হত্যার মামলা তুলে নিতে বিধবা নারীকে মারধর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর মাফুজুর রহমান রিমন (২৪) হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলার বাদী ও নিহতের মায়ের উপর হামলা করেছে মামলার এজহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামী কাইয়ুম মিয়া।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের দক্ষিণ পৈরতলার রেলওয়ে কলোনির পিছনে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে কাইয়ুম ধরে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। আহত রিমনের মাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়।
জানা যায়, গত ২ জানুয়ারী সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের সরকারপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে কাজের উদ্দেশ্য বের নির্মাণ শ্রমিক মাহফুজুর রহমান লিমন(২৪)। বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর স্থানীয় সন্ত্রাসীরা এলােপাতাড়িভাবে কােপায় নির্মাণ শ্রমিক রিমনকে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ জানুয়ারী মারা যান।এ ১০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন রিমনের মা বাছিয়া পারভীন।
মঙ্গলবার দুপুরে নিহত রিমনের বাড়িতে দা হাতে নিয়ে যায় রিমন হত্যা মামলার অন্যতম আসামী কাইয়ুম। এসময় মামলার বাদী রিমনের মাকে কাইয়ুম হত্যা মামলাটি তুলে নিতে হুমকি দেয়। এতে নিহতে রিমনে মা অস্বীকার জানালে কাইয়ুম তার হাতে থাকা দা দিয়ে তাকে হামলা করলে তিনি আহত হন। এখবর পেয়ে এলাকাবাসী রিমনের বাড়ি ঘিরে ফেলে কাইয়ুমকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
পরে এই ঘটনার প্রতিবাদে ও হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসী কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের দক্ষিণ পৈরতলা মোড়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয়। প্রায় আধা ঘন্টা পর সদর মডেল থানা পুলিশ বিক্ষুব্ধদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সেখান থেকে বিক্ষুব্ধরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দিন জানান, যান চলাচল এখন স্বাভাবিক আছে। মামলার আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছে।