ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু মেলা ও শিশু মেধাবৃত্তি প্রদান
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উৎসব মুখর পরিবেশে সদর উপজেলার চিনাইরে বৃহস্পতিবার শিশু মেলা ও শিশুদের মধ্যে মেধা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শিশুদের মধ্যে এই মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত শিশু মেলা ও শিশু মেধা বৃত্তি প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি।
চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন নর্থ সাউথ বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডঃ আতিকুল ইসলাম।
সূচনা বক্তব্য রাখেন চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন ও পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন। বক্তব্য রাখেন সিডিসি, কসবার অধ্যক্ষ সোলেমান খান।
এবারের মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় জেলার ৯টি উপজেলার ৮৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৩৭৩জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। অংশগ্রহনকারি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শতকরা ৫ ভাগ ট্যালেন্টপুলে, শতকরা ১০ ভাগ সাধারন গ্রেডে এবং পঞ্চম শ্রেণীতে সকল বিষয়ে ৯০ এর তদুর্ধ্ব নম্বর প্রাপ্ত ৫জনকে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ডিসটিনশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
এ বছর ট্যালেন্টপুলে ৫৮জন শিক্ষার্থী, সাধারণ গ্রেডে ১২৬জন শিক্ষার্থী এবং ৫জনকে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ডিসটিনশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা এককালীন ৩ হাজার টাকা, সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা এককালীর দুই হাজার ৫শত টাকা এবং উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ডিসটিনশন অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তরা এককালীন ১২ হাজার টাকা করে পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, পৃথিবীতে সবাই সমান মেধা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেনা। যারা কম মেধাবী তাদেরকে যত করে তাদের মেধাকে বিকশিত করতে হবে। তিনি বলেন, জীবনের সফলতা নানাভাবে আসতে পারে তবে জীবনটাকে গড়ে তুলতেই লেখাপড়ার প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে হলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হবে। লাইব্রেরীতে গিয়ে পড়াশুনা করলে মেধা খুব শক্তিশালী হয়। সন্তানকে মা-বাবার সান্নিধ্য দিতে হবে। তাদের সাথে গল্প-গুজব করতে হবে। তাদেরকে মানুষের সাথে মেলামেশা ও খেলাধূলা করার সুযোগ দিতে হবে। মা- বাবারা সন্তানকে সময় না দিলে সন্তান আপনাআপনি পন্ডিত হতে পারবেনা। তিনি বলেন, জিপিএ-৫, গোল্ডেন জিপিএর দিকে না তাকিয়ে সন্তানকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই অঞ্চলের শিশুদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত, শিশুদেরকে মেধা ও মনন বিকশিত করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সাংসদ র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি ২০০৪ সালে এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষা চালু করেন।
« সাংবাদিক শাহ্ আলমগীরের মৃত্যুতে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ইমজা) শোক (পূর্বের সংবাদ)