ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিয়াউর রহমানের ৮১তম জন্মবার্ষিকী পালিত



শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া ছিলেন আধিপত্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক আপসহীন দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক — জহিরুল হক খোকন জহির
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে পুনিয়াউটস্থ কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের বাসভবন প্রাঙ্গণে এক আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পৌর বিএনপির সভাপতি এডঃ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ভিপি জহিরুল হক খোকন জহির। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন এডঃ গোলাম সারোয়ার খোকন, হাজী সিরাজুল ইসলাম, এডঃ তরিকুল ইসলাম, আলহাজ্ব এবি এম মোমিনুল হক, মোঃ আলী আজম, নজির উদ্দিন আহমেদ, আবু শামীম মোঃ আরিফ, হাজী মনির হোসেন, শামীম মোল্লা, এডঃ ইসমত আরা, শেখ মোঃ হাফিজ উল্লাহ্ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ জহিরুল হক খোকন জহির বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের জনক এবং জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বলেই শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ এদেশের উম্মুক্ত আলো-বাতাসে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। দেশের এক চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হন শহীদ জিয়া। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারী হয়ে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির এক চরম দুঃসময়ে ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সিপাহী-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদ জিয়া ক্ষমতার হাল ধরেন। ক্ষমতায় এসেই মানুষের হারানো অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন, নিশ্চিত করেন মানুষের বাক ও ব্যক্তিস্বাধীনতা। উৎপাদনের রাজনীতি প্রবর্তন করে তিনি দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধিশালী করে গড়ে তুলতে সক্ষম হন। তিনি বলেন, শহীদ জিয়া ছিলেন আধিপত্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক আপসহীন দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক। তাই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেদের নীলনকশা বাস্তবায়নের কাঁটা ভেবে জিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই নীল নকশার ধারাবাহিকতা বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ঐ একই কায়দায় বিএনপি নাম নিশানা মুছে ফেলার সর্বগ্রাসী চেষ্ঠায় লিপ্ত। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অচিরেই দেশপ্রেমিক জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমস্ত চক্রান্তের জাল ছিন্ন করে জনগণের ভোট নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় দোয়া পরিচালনা করেন, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আলহাজ্ব এবিএম মোমিনুল হক তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করার পাশাপাশি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া পরিচালনা করে। এর পরে কেক কেটে উপস্থিত নেতাকর্মীদের বিতরন করা হয়।প্রেস বিজ্ঞপ্তি