ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির দায়িত্ব শক্তিশালীকরণে সভা
আন্তর্জাতিক বেসরকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ড কনসার্ন (বাংলাদেশ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর এনসিওর প্রোট্রেকশন এন্ড জাস্টিট থ্রু ইনট্রিগ্রেটেড এ্যাপ্রোচ (ইপজিয়া) প্রকল্পটির মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির দায়িত্ব শক্তিশালীকরণে সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন,বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সভাপতি জাহাঙ্গীর কবীর খান দুলাল, কমিউনিটি প্রোট্রেকশন কমিটির সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক এবং আরো ছিলেন সুহিলপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান কেন্দ্রের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ডা: রুমানা ভুইয়া।
এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তবে বলেন মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির অনেক গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব রয়েছে। আমাদেরকে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর তা না হলে সমাজে পাচারের সংক্ষা বেড়ে যাবে। তিনি আরো বলেন প্রতিমাসে আমাদের মিটিং করতে হবে ও মিটিং এর রেজুলেশন থাকতে হবে, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে কমিটি সক্রিয় ও পাচার বিষয়ে সচেতনতা বিষয়ক মিটিং করতে হবে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সভাপতি জাহাঙ্গীর কবীর খান দুলাল বলেন ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের অনেক ভুমিকা রয়েছে মানব পাচার প্রতিরোধে। আমাদের ইউপি সদস্য,শিক্ষক, ধর্মীয় নেতা বা স্থানীয় নেতা কর্মীদের মাধ্যমে প্রতিটি জায়গায় মানব পাচার প্রতিরোধে সচেতনতা মুলক সভার আয়োজন করতে হবে। মানব পাচার আমাদের জন্য খুবই আতংকজনক একটি বিষয় তাই আমাদের সবার এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন আমরা মানব পাচার বিষয়ে সবাই সচেতন থাকবো এবং অন্যদেরকে ও এ বিষয়ে সচেতন করব। কমিউনিটি প্রোট্রেকশন কমিটির সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন কিছু দুষ্ট চক্রের লোকেরা আমাদের সমাজের সাধারন মানূষদের টার্গেট করে তাদের বিদেশে নিয়ে বেশি টাকার বেতনের চাকুরীর লোভ দেখিয়ে পাচার করে দেয়। তাই আমাদের সমাজের সাধারন মানুষদের এই বিষয়ে সচেতন করতে হবে। আর এই দুষ্ট চক্রের লোকেদের চিহ্নিত করে পুলিশে সোপার্দ করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এতে করে সমাজ থেকে পাচার কারী চক্রের সংক্ষা কিছুটা হ্রাস পাবে। সুহিলপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা: রুমানা ভুইয়া বলেন প্রতি বছরই আমাদের দেশ থেকে নারী ও শিশুরা পাচার হয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের নারী ও শিশুদের প্রতি বিশেষ ভাবে খেয়ার রাখতে হবে। পাচারকারীরা বিশেষভাবে নারী ও শিশুদের টার্গেট করে। কারন তাদেরকে খুব তারাতারী প্রলোভনে ফেলা যায়। আমাদের কমিটির তথা সবার এ ব্যাপারে সচেষ্ঠ থেকে তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
পাচার প্রতিরোধ কমিটির সভাটি সঞ্চালনা করেন ইপজিয়া প্রোগ্রাম অফিসার প্রবাল সাহা (অর্ক)। তিনি উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বলেন পাচার বন্ধে শিশু ও নারীদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। এলাকায় সন্দেহজনক লোক দেখলে খোজ খবর নিতে হবে । তিনি আরো বলেন পাচার প্রতিরোধ কমিটি কমিউনিটির জন্য বিশেষ একটি কমিটি। এর ফলে সমাজের সাধারন মানুষেরা নানা ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকে। উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন কোন ভিকটিম বা পাচারে আলামতকারী কোন তথ্য পেলে তা অবশ্যই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা নিকটস্থ থানা অফিসারকে অবহিত করতে হবে। প্রেস রিলিজ