বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট হিসেবে দাড় করাতে হলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে রক্ষা করতে হবে::বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যড. হামিদুর রহমান
ডেস্ক ২৪:: চুয়াল্লিশতম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্তরে ছয়দিন ব্যপি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার দ্বিতীয় দিনের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদ কর্তৃক অয়োজিত দ্বিতীয় দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধকালীন মেঘনা চিফ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যড. হামিদুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মোখলেছুর রহমান খান এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ তানভির ভুইয়া, জেলা জাসদ সভাপতি এডঃ আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি অ্যাড. কাজি মাসুদ আহমদ, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস।
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন উপাধ্যক্ষ মোঃ জসিম উদ্দিন ব্যপারী। সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বাঙ্গালী জাতির গৌরব ও অহংকার। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ট অর্জন। ১৯৭১ সালে আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধ না করতাম এবং যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন না করতাম তাহলে পৃথিবীর মানচিত্র ও ইতিহাস থেকে আমাদের নাম চিহ্ন মুছে যেত। তিনি বলেন যারা জীবন বাজি রেখে আমাদের স্বাধনতা এনে দিয়েছেন সেই সমস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাগন এ জাতির শ্রেষ্ট সন্তান। তাদেরকে আমাদের সারাজীবন মনে রাখতে হবে। সম্মান করতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে একটি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী চক্র এদেশের মানুষের মন থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে দিতে চেয়েছে। তাই তারা বিভিন্ন অপকৌশলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করতে অপচেষ্টা চালিয়েছে। তাদের সেই অপচেষ্টা এখনও চালু আছে। তাদের সেই অপচেষ্টা রুখতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট হিসেবে দাড় করাতে হলে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে রক্ষা করতে হবে এবং নতুন প্রজম্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিজয় মেলা সাংস্কৃতিক উপ কমিটির আহবায়ক আবদুল মান্নান সরকারের সার্বিক তত্তাবধানে মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন ও তিতাস ললিতাকলা একাডেমীর শিল্পীবৃন্দ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন আনিছুল হক রিপন। অনুষ্ঠানে বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করে বাউল শিল্পী হানিফ মিয়া, পারুল বেগম ও তাঁর দল। আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যায় মেলা চলবে। মেলায় প্রতিদিন স্থানীয় ও দেশ বরণ্যে ব্যক্তিদের অংশ গ্রহনে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।