বিএনপি’কে জড়িয়ে জেলা আওয়ামীলীগের দেয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা বিএনপি
আওয়ামীলীগ মনোনিত পৌর মেয়র প্রার্থীর নাম ঘোষনার পরপর ঢোল বাদ্য নিয়ে আনন্দ মিছিল অপর দিকে মনোনয়ন বঞ্চিতদের অবস্থান নিয়ে সারা শহরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই মধ্যে শহরবাসীর সামনে ককটেল বিষ্ফোরণ হয় যা মুখেমুখে চাউর হয়েছে শহর ব্যাপী কে কে এই কুকর্মে জড়িত, কাদের ইশারায় এই ককটেল বিষ্ফোরণ এবং কেন এই ঘটনা যা দিবালোকের মত শহরবাসী নিকট স্পষ্ট।
আমরা অবাক ও বিষ্ময়িত হয়েছি, জেলা বিএনপিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে জড়িয়ে স্থানীয় পত্রিকায় দেয়া জেলা আওয়ামীলীগের বিবৃতি দেখে। পরপর সৃষ্ট কয়েকটি ঘটনায় একই কায়দায় বারবার বিএনপিকে জড়িয়ে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর দুষ্ট, নীচ ও প্রতিহিংসা পরায়ন মানষিকতা সম্পন্ন স্থানীয় শাসকদলের নেতা বারবার এই কাজটি করে যাচ্ছেন। অথচ যেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই।
এরই জের ধরে গতকল্য জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাধারণ সম্পাদক মো: জহিরুল হক খোকন জহির, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী সিরাজুল ইসলাম, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনির হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শামীম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদের বাস ভবনে পুলিশি তল্লাশীর নামে আতঙ্ক সৃষ্টি ও হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় জেলা বিএনপি।
মিথ্যা, বানোয়াট বিবৃতি ও পুলিশি হয়রানি এটাই প্রমান করে জেলা আওয়ামীলীগ নিজেদের সৃষ্ট কোন্দল ও সংঘাতের দায় জেলা বিএনপির উপর চাপিয়ে আসন্ন পৌর নির্বাচনে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে খালি মাঠে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে এক তরফা সুযোগ সৃষ্টি করার জন্যই এহেন নির্লজ্জ অপকর্ম বারবার করে যাচ্ছে।
জেলা বিএনপি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চায় প্রতিহিংসার এ খেলা বন্ধ করে নির্বাচনী লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে সুষ্ঠু পরিবেশে বিএনপিকে মোকাবেলা করুন।