বঙ্গবন্ধুর এক তেজোদীপ্ত ভাষণেই উদ্বুদ্ধ গোটা জাতি বহু কাঙ্খিত স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে — মোকতাদির চৌধুরী এমপি
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকি উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাসব্যাপি কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শনিবার চতুর্থ দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ জেলা শাখার আয়োজনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও প্রজ্ঞার মানসপুরুষ স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি সর্বকালে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনকের “ মুক্তিযুদ্ধত্তোর বঙ্গবন্ধু সরকারের সাফল্য” শীর্ষক আলাচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, বিশিষ্ট লেখক, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি এ এইচ এম আলমগীরের সভাপতিত্বেঅনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ। অতিথি বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান রতন, সরকারী কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ ভূইয়া, হেলথ এসিষ্ট্যান্ড এসোসিশেয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি আরশাদুল ইসলাম, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ রুবেল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজির আহমেদ ভূইয়া, মোঃ মনির হোসেন, মোঃ ফখরুল ইসলাম।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এম. আব্দুল বাছেদ। পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন মাওঃ আব্দুল¬াহ্।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ইতিহাসের বাঁক ঘোরানো এক সিংহ পুরুষ। বাঙালি জাতির চরিত্র সম্পর্কে তার চেয়ে বোধকরি আর কেউ জানতেন না। জীবনের বিনিময়ে তিনি সেই জাতির জন্যই রচনা করেন ইতিহাসের এক অমোঘ অধ্যায়। পৃথিবীতে কোনো জাতিই মাত্র ৯ মাসে স্বাধীনতা লাভ করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর এক তেজোদীপ্ত ভাষণেই উদ্বুদ্ধ গোটা জাতি সেই বহু কাঙ্খিত স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনেন। তিনি না হলে আর কত বছর পরে কে স্বাধীনতা আনতো তা কেউই বলতে পারে না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বভাব নেতা। কি বাল্যে কি কৈশোরে কি মত্ত যৌবনে সবখানেই ছিলেন তিনি এক কালজয়ী মহাপুরুষ। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির ইতিহাসের এক অবিভাজ্য সত্তা।