Main Menu

পবিত্র ঈদুল আযহা বুধবার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ঈদগাহ মাঠে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়

+100%-

আগামীকাল (২২ আগস্ট ) পবিত্র ঈদুল আযহা । ত্যাগ,শান্তি,সৌহার্দ্য আর আনন্দের বার্তা নিয়ে বিশ্ব মুসলমানদের জন্য খুশির বার্তা নিয়ে বছর ঘুরে আবারো ফিরে এসেছে ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদ সব ভেদাভেদ ভুলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে মিলিত হওয়ার দিন।

ঈদুল আযহায় মহান আল্লাহর উদ্দেশে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করা মুসলমানদের প্রাচীন ঐতিহ্য। আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় নবী হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আনুগত্য পরীক্ষা করার উদ্দেশে তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন নিজের সবচেয়ে প্রিয়বস্তু কোরবানি দিতে।

স্নেহের পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) ছিলেন হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সবচেয়ে প্রিয়। স্নেহ-মমতায় ভরা জগৎ-সংসারে পিতার পক্ষে আপন পুত্রকে কোরবানি দেয়া অসম্ভব এক অগ্নিপরীক্ষা। কিন্তু আল্লাহর নির্দেশ পেয়ে হজরত ইব্রাহিম (আ.) বিনা দ্বিধায় আপন পুত্রকে কোরবানি দিতে উদ্যত হয়েই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। মহান আল্লাহর নির্দেশে ছুরির নিচে প্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-এর স্থলে কোরবানি হয়ে যায় একটি দুম্বা।

এ প্রতীকী ঘটনার অন্তর্নিহিত বাণী মহান আল্লার প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য ও ত্যাগ স্বীকার। হজরত ইব্রাহিম (আ.) যে উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন তাকে মর্যাদা দিয়ে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল আজহা পালন করে।

কোরবানির অর্থ উৎসর্গ করা। পশু কোরবানি তার মাধ্যম। যে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণ মূর্ত হয় মানুষের জীবনে, সেই সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের জন্য চরম ত্যাগ স্বীকারের প্রতীক কোরবানি। ঈদুল আজহার প্রকৃত উদ্দেশ্য নিজের অহমিকা ও উচ্চাভিলাষ বিতাড়িত করা।

পশু কোরবানির ভেতর দিয়ে মানুষের ভেতরের পশুশক্তি, কাম-ক্রোধ, লোভ, মোহ, পরনিন্দা, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি রিপুকেই কোরবানি দিতে হয়। কোরবানির আনন্দ, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের মনোভাব নিয়ে এবারো পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে বুধবার সকাল ৮টায়। জামাতে ইমামতি করবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের কান্দিপাড়াস্থ জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার জ্যেষ্ঠ মুহাদ্দিস মুফতি নোমান হাবিবী।

ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীদের নামাজ আদায়ের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও ঈদগাহ্ মাঠ পরিচালনা কমিটি। জেলার সবচেয়ে বড় এ ঈদগাহ্ মাঠটিতে একসঙ্গে ১৫ হাজারেরও বেশি মুসুল্লী নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে একইসময়ে জেলা জামে মসজিদে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।






Shares