নার্সিং ইনস্টিটিউট হচ্ছে আইসোলেশন ২, প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিন দিন বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তাদের আইসোলেশন এর জন্য জেলার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে রাখা হচ্ছে কিন্তু ধারণক্ষমতার বেশি হওয়ায় নতুন আইসোলেশন হাসপাতালের প্রয়োজন। গত সাপ্তাহে করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির এক সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেখানে সদর হাসপাতালকে আইসোলেশন রোগীদের চিকিৎসা কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় একই সাথে বিকল্প হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজকে নির্ধারণ করা হয়। এ খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শহরবাসীর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
শুক্রবার প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি উঠে আসে। সেখানে সর্বসম্মতভাবে নানা দিক বিশ্লেষণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের নার্সিং ইনস্টিটিউটকে আইসোলেশন সেন্টার ২ বা দ্বিতীয় করোনা হাসপাতাল নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে ৫০ জন রোগীকে করোনা চিকিৎসা দেয়া যাবে।
এরপরও যদি রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দোলা খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার, পৌরমেয়র নায়ার কবির, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মোঃ শওকত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডঃ মোঃ আবু সাঈদ প্রমুখ।
বৈঠকের শুরুতেই সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শওকত হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে কেন আইসোলেশন চালু করা সম্ভব নয়? তখন তিনি জানান, হাসপাতালে জেলার প্রায় ৩০ লক্ষ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সেবা নিয়ে থাকে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা হবিগঞ্জ থেকেও এখানে রোগী আসেন। যদি হাসপাতালে চিকিৎসা কেন্দ্র করা হয় তাহলে এইসব রোগী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন তাছাড়া সদর হাসপাতালকে দু’ভাগে বিভক্ত করে আইসোলেশন কার্যক্রম পরিচালনা ও অসম্ভব।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ 100 রোগীর আইসোলেশন বা করুণা রোগের চিকিৎসা দিতে সক্ষম তাদের প্রয়োজনীয় জনবল ও অবকাঠামো রয়েছে সরকার চাইলে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসীর জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ এ সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। প্রয়োজনে সরকারি অর্থ সহায়তা ছাড়াও এ কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন বলে ডাক্তার আবু সাঈদ জানান।
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দোলা খান বলেন, সভায় সর্বসম্মতভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউট কে আইসোলেশন ২ হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ আগামী রবিবারের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করলে আইসোলেশনটি চালু করা হবে।
« শোক সংবাদ:: কুতুব উদ্দিন চৌধুরী (সেলিম চৌধুরী)র ইন্তেকাল (পূর্বের সংবাদ)