দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করা হচ্ছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেছেন, ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা পথে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এটি পরিকল্পিত কোনো হামলা নয় বলে স্পষ্ট করেছেন গাড়িটির চালক মো. আসাদুল হক। সাধারণ এ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সেদিনের দুর্ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘একটি সাধারণ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে এবং সত্যটা জানার জন্য চালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এখানে আনা হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ ও অর্থায়নে চার লেন সড়কের নির্মাণকাজ চলছে। স্বল্প রাস্তার এক পাশ দিয়ে যান চলাচল করে। এতে প্রতিনিয়ত সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। ২০০৩ থেকে ঢাকা-আগরতলা পথে বাস চলাচল করে। কখনোই কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। আগরতলার স্থানীয় সাংবাদিকেরা যারা অপপ্রচার চালিয়েছে, অসত্য ও বানোয়াট একটা জিনিস, সেটি চালক নিজেই বলেছে কী ঘটেছে। আমি নিজেও তা যাচাই করেছি। এটি ছোট একটি দুর্ঘটনা। রাস্তায় চলতে গেলে এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যদি কখনো অনুভব করি বা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে নির্দেশ আসে যে ঢাকা-আগরতলা রুটে চলাচলকারী বাসকে নিরাপত্তা দিতে হবে, আমরা দেব। তবে আমার মনে হয় এমন পরিবেশ ও পরিস্থিতি কখনোই হবে না। আমরা চাই এটার এখানেই যেন অবসান হয়। আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে।’
শ্যামলী পরিবহনের ওই বাসের চালক মো. আসাদুল হক বলেন, একটি ট্রাক উল্টো দিক থেকে অতিক্রম করতে গেলে আমি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যাই। এ সময় পেছনে থাকা একটি অটোরিকশা বাসটিতে ধাক্কা খায়। এতে অটোরিকশাটি বাসের পেছনে আটকে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে নেমে একটি রেকার আনার ব্যবস্থা করে অটোরিকশাটি সরিয়ে নিই। বিষয়টি হাইওয়ে থানা পুলিশকেও অবহিত করা হয়। পুলিশ আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র দেখে চলে যেতে বলে। দুর্ঘটনায় বাসের কোনো ক্ষতি হয়নি কিংবা যাত্রীরা আঘাতপ্রাপ্ত হননি।’
সংবাদ সম্মেলনে চালক বলেন, ‘চলার পথে এমন অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। এমনই একটি দুর্ঘটনা এটি। দুর্ঘটনাও একেবারে সাধারণ। এটি মোটেও পরিকল্পিত নয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শ্যামলী পরিবহনের চালক মো. আসাদুল হক, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন ও খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট বায়জিদ মাহমুদ প্রমুখ।