ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফলদ ও বৃক্ষমেলা ২০১৭
গাছ লাগানো পবিত্র কাজ, এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে: মোকতাদির চৌধুরী এমপি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, বিশিষ্ট লেখক, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় তমাল তাল হিজল ও বেত জাতীয় পন্য উৎপাদনকারী মুতরা গাছসহ বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির অন্যান্য গাছ লাগাতে বন বিভাগ, মানবদেহে পুষ্টি যোগাতে ও রোগমুক্ত থাকতে সব জায়গায় বেশী হারে ফলদ এবং ঔষধী গাছ (বৃক্ষ) রোপনে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, সমস্ত গাছই প্রাকৃতি পরিবেশ সুরক্ষার জন্য একটি ভাল বন্ধু। গাছ শুধু জীবন ধারণের জন্য অক্সিজেন দিয়ে নাইট্রোজেন শোষণের উপযুক্ত তা ই নয়, এটা আসবাব জ্বালানীসহ অন্যান্য উপকারী কাজেও লাগে। গাছ (বৃক্ষ) লাগানো হলো একটি পবিত্র কাজ। এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। তিনি বরেন, বৃক্ষরোপন তথা গাছের চারা লাগিয়ে এর তত্ত্বাবধান করা বর্তমানে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। জনগণের উচিৎ বৃক্ষরোপন করা। যখনই শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে তখনই এটি হয়। শেখ হাসিনা প্রাকৃতি পরিবেশ রক্ষায় জন সচেতনতামূলক একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, তা হলো বাড়ির আঙ্গিনাসহ সব জায়গায় ফলদ ও বনজ বা ঔষধী গাছ লাগাতে হবে। মানুষ সচেতন হওয়ায় গত কয়েক বছরে দেশে গাছ লাগানো বেড়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে প্লেন থেকে পাহারে বীজ ছড়িয়ে দেয়ায় বিলুপ্ত প্রায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সংখ্যা বেড়ে গেছে। অসচেতনতা ও দুবৃর্ত্তপনায় দেশের বন পাহাড় টিলা কেটে ফেলার কারণে পরিবেশ উলঙ্গ হয়ে গেছে।
মোতাদির চৌধুরী জন গণসচেতন হয়ে এসব দুর্বৃত্তদের রুখে দেয়ার জন্য গতকাল বুধবার সকালে স্থানীয় জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চ চত্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও সামাজিক বন বিভাগ আয়োজিত ২ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত ফলদ ও বৃক্ষমেলা ২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব অভিমত প্রকাশ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ কার্যক্রম সূচনা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম (বার), পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নায়ার কবির, সামাজিক বন বিভাগ কুমিল্লা অঞ্চল কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপপরিচালক আবু নাছের।
উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মর্কতা মোঃ মনিরুল হক মীর ও সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহানা বেগমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বৃক্ষমেলা আয়োজনসহ বৃক্ষরোপনের গুরুত্ব বর্ণনা করে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষক মোঃ আবদুজ জাহের ও নার্সারী মালিক ছাদেকুল ইসলাম। এর আগে সকাল ১১টায় শহরের লোকনাথ দীঘির পাড় হতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত একটি সুসজ্জিত র্যালী শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ফিতা কেটে উদ্বোধনের পর মোকতাদির চৌধুরীসহ জেলা প্রশাসক এবং অতিথিগণ মেলার স্টল পরিদর্শন করেন। ১১ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্টলে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা ও বিক্রি চলবে।