কাশ্মীরীদের ন্যায্য অধিকার কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ
ভারতের বিজেপি সরকার কর্তৃক সংবিধান পরিবর্তন করে কাশ্মীরীদের ন্যায্য অধিকার কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়োজনে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় অনুষ্ঠিত মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্ত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রেলওয়ে স্টেশন চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
আইএবি’র জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদুল্লাহ’র উপস্থাপনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক জেলা সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ আনোয়ার আহমদ, জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালেক ফয়েজী, সেক্রেটারী আলহাজ্ব মোঃ ওবাইদুল হক, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মুফতী আশরাফুল ইসলাম বিলাল, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি এইচ এম ইউনুছ আহমদ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, কাশ্মীরীদের জন্য ‘বিশেষ মর্যাদা’ ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অন্যায়ভাবে বাতিল করে মোদি সরকার কাশ্মীরীদের ন্যায্য অধিকার হরণ করেছে। ভারতীয় বুদ্ধিজীবীদের ভাষায় যা গণতন্ত্রকে হত্যা করার শামিল। ভারতের সংবিধানের ২ -এর ক-খ ধারায় উল্লেখ আছে, কোন অঞ্চলকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে নিতে হলে প্রেসিডেন্ট অর্ডিনেন্স জারি করবে এবং কাশ্মীরের জনগণের মতামত নিবে। কিন্তু এখানে তা করা হয়নি। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে তাদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এর ফলে যেখানে কাশ্মীর একটি স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল ও জনগণ সর্বদিক থেকে স্বাধীন ছিল এমনকি কেউ ভূমি ক্রয় এবং বহিরাগতরা নাগরিকত্ব নিতে পারতো না সে স্থলে এখন এসবের উল্টো সবই করতে পারবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, কাশ্মীরের মুসলিম রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার, গৃহবন্দি ও সৈন্য সমাবেশের মাধ্যমে কাশ্মীরে মারাত্মক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যাচ্ছে। কাশ্মীরের আপামর জনতার মতামতকে উপেক্ষা করে ভারতের সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। এই সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্বনেতাদের অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে।