কান্দিপাড়ায় বিয়ের ১১ মাসের মাথায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা শহরের কান্দিপাড়া থেকে জেসিয়া আক্তার বিথী (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৩ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কান্দিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্বামীর পরিবারের দাবি, অভিমান করে অতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বিথী। তবে বিথীর মা , জামাতা রাসেল বিষপান করিয়ে তার মেয়েকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন।
বিথী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার গৌকর্ণঘাট গ্রামের দক্ষিণ পাড়া এলাকার মো. আল-আমীন মিয়ার মেয়ে৷
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত বছরের জুন মাসে জেলা শহরের কান্দিপাড়া এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে রাসেল হকের সাথে জেসিয়া আক্তার বিথীকে ৫ লক্ষ টাকার কাবিননামায় বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিলনা। এর কলহের জেরে সোমবার রাতে অতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বিথী। পরে রাতেই বিথীকে মুমূর্ষু অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে গৃহবধূর লাশটি উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ৷ এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিথীর স্বামী রাসেল হককে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে বিথীর মা হেলেনা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকে তার মেয়েকে যৌতুকের টাকার জন্য মারধোর করতো রাসেল। অনেকবার যৌতুকের টাকাও দিয়েছি। বিথী ঔষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেনি। গতকাল রাতে রাসেল তার মেয়েকে প্রচুর মারধোর করেন। পরে বিথীকে বিষপান করিয়ে হত্যা করে রাসেল। তার মেয়ে হত্যার সঠিক বিচার দাবি করেন।
এব্যাপারে সদর থানার পুলিশ-পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোহরাব আল-হোসাইন জানান, কান্দিপাড়া থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছি। লাশটি উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারন জানানো যাবে।