আশুগঞ্জে রিসোর্ট থেকে বিপুল পরিমান মদসহ আওয়ামী ও যুবলীগের দুই নেতাসহ আটক ২২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের শরিয়তনগরে (গোলচত্তরের পাশে) অবস্থিত আর জে টাওয়ার হোটেল এন্ড রিসোর্ট থেকে বিদেশি মদ ও বিয়ারসহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাসহ ২২জনকে আটক করেছে র্যাব। শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে এসব আটক করে।
ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এবং স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মোহাম্মদ বেলায়েত হোসাইন এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সদর উপজেলার চান্দপুরের মৃত হান্নান ঠাকুরের ছেলে মনির ঠাকুর (৩৫), সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও জগৎসারের জহিরুল হকের ছেলে শাহীনূর ভূইয়া শাহীন (৩৫), ঢাকার বাড্ডার মোঃ ফেরদৌস চৌধুরী (৩৪), শেরপুরের নকলার মোঃ আলাউদ্দিন (২৪), রাজবাড়ীর আকমল হোসেন (৪২), নেত্রকোনার মনিরুজ্জামান (২৪), ময়মনসিংহের নান্দাইলেত আশিক (২৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের মোঃ রুবেল (২৩), সরাইলের বড়ইছড়ার মুন্না (২৩), ঢাকার দোহারের সাইফুল ইসলাম(২৭), সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার মোঃ হায়দার (২৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেড্ডার মোঃ জাকির হোসেন (৩৫), কাউতলীর মোঃ শাহজাহান (৪৫), জাদুঘরের মোঃ আনোয়ার হোসেন (৪২), জামালপুরের জুয়েল রানা(২৩), নরসিংদীর মনোহরদীর রুবেল মিয়া (২৭),বরিশালের বাকেরগঞ্জের জব্বার (২৩),পটুয়াখালীর বাউফলের মোঃ আল আমিন (২৭), কিশোরগঞ্জের চারারবনের ইকবাল (২৫), কলিয়ারকান্দির মান্না মিয়া (২৪), কুলিয়ারচরের মোঃ তন্ময় মোল্লা (২৪), ও ভৈরবের নবী হোসাইন (২৮)।
আটককৃত ব্যক্তিদের নিকট হতে বিভিন্ন ব্যান্ডের অনুমোদনহীন হুইস্কি ও ভোদকা জাতীয় বিদেশী মদ ৭৬ বোতল, ৭২ ক্যান বিদেশী ভোদকা, ১৩১ ক্যান বিদেশী বিয়ার এবং মাদক বিক্রির নগদ ১লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব ভৈরব ক্যাম্পের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেবলমাত্র রিসোর্ট এর ভিতরে মদ পরিবেশন করার কথা থাকলেও তারা নিয়মিতভাবে রিসোর্টের বাহিরে বিদেশী মদ’সহ বিয়ার বিক্রয় করে এবং অনুমোদনবিহীন বিদেশী মদ ও বিয়ার সংগ্রহ ও পরিবেশন করে থাকে। শর্তানুযায়ী লাইসেন্সধারী ব্যক্তিদের নিকট মদ ও বিয়ার পরিবেশন করার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু তারা শর্ত ভঙ্গ করে লাইসেন্সবিহীন ব্যক্তিদের নিকট মদ বিক্রয় ও পরিবেশন করে আসছে।
আরও বলা হয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অনুমোদনকৃত ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে মদ পরিবেশন ও বিক্রয় করার কথা থাকলেও অনুমোদনহীন ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে পরিবেশন ও বিক্রয় করে থাকে। এছাড়াও তারা বিদেশী মদের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়।