দিনমজুর আলাউদ্দিনকে গাভী হস্তান্তরকালে পুলিশ সুপার
আলাউদ্দিনের মতো সব দুঃখী পরিবারের পাশে থাকবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম (বার) বলেছেন, ‘মানবিক কারণে আলাউদ্দিনের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে। আজ থেকে আলাউদ্দিনের পরিবারও সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ হয়ে গেলেন। তিনি বলেন, এ উদ্যোগ তখনই স্বার্থক হবে যখন পরিবারের কেউ ভালো অবস্থানে গিয়ে মানবিক কোনো বিষয়ে কারো পাশে দাঁড়াবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সব ভালো কাজে পাশে আছে। আলাউদ্দিনের মতো সব দুঃখী পরিবারের পাশে থাকবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনমজুর মোঃ আলাউদ্দিনের হাতে গাভী হস্তান্তরকালে পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন।
গতকাল ১১ অক্টোবর বুধবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম (বার) এর কার্যালয়ের সামনে আলাউদ্দিনের পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে একটি গাভী দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মোঃ আবু সাঈদ, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইও-১) মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নবীর হোসেন, সাংবাদিক কাউছার এমরান, আল আমিন শাহীন প্রমুখ।
দিনমজুর আলাউদ্দিন গরু বুঝে পেয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সংশিষ্ট সূত্র জানায়, এক লাখ বিশ হাজার টাকা দিয়ে নবীনগেরর বাইশমৌজা বাজার থেকে বাছুরসহ গরুটি কেনা হয়েছে। গরুটি প্রতিদিন আট থেকে ১০ কেজি দুধ দিবে বলে আশা করা হচ্ছে। গরু পালনে প্রতিদিন দেড়শত টাকার খরচ হবে।
উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় ‘মজুরের ঘরে মেধা লালন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার নয়নপুরের দিনমজুর মোঃ আলাউদ্দিনের নয় সন্তান। বড় সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াসহ অন্যরা বিভিন্ন স্কুল-কলেজে অধ্যায়নরত। আলাউদ্দিন প্রতিদিন যে চারশত টাকা আয় করেন তা দিয়েই চলে সন্তানদের পড়াশুনাসহ সংসারের সব খরচ। না খেয়ে হলেও পড়াশুনা চালিয়ে যেতে চায় আলাউদ্দিনের সন্তানরা।
সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই আলাউদ্দিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন। মৌলভীবাজারের এক ব্যক্তি আলাউদ্দিনকে ব্যাটারিচালিত রিকশা কিনে দেন। নগদ এক লাখ টাকা দেন ঢাকার এক ব্যক্তি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান আলাউদ্দিনকে একটি গরু কিনে দেয়া ও তাঁর বড় মেয়ের বিয়ের খরচ মেটানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন।