অশিক্ষা কুসংস্কার দূর করার জন্য আপনাদের অবস্থান থেকে কাজ করে যাবেন:: জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন
জেলা প্রশাসক ডঃ মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান করে নিজেরাও সম্মানিত বোধ করছি। আপনারা সরকারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাবেন। এর পাশাপাশি রাষ্ট্রকে আরো বেগবান করবেন। আপনাদেরকে দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবে। তারাও এদেশের যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে উঠবে। গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ, বেগম রোকেয়া দিবস ও জয়িতা অন্বেষনে আলোচনা সভা ও জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের হল রুমে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জহিরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, এই ক্ষয়িষ্ণু সমাজে মাদকের প্রবণতা, বাল্য বিবাহের প্রবণতা আছে। এসব প্রবণতা, অসমতা, অশিক্ষা কুসংস্কার দূর করার জন্য আপনাদের অবস্থান থেকে কাজ করে যাবেন। প্রশাসন সবসময় আপনাদের কল্যাণের চিন্তা করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, জেলা স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নাজবাহুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কামরুজ জাহান। বক্তব্য রাখেন জাতীয় মহিলা সংস্থা জেলা শাখার সভানেত্রী মিনারা আলম, আয়েশা বেগম, নাসিমা বেগম। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আল-মামুন সরকার বলেন, এক সময় মহিলারা ঘর সংসারের কাজ করত। তাদেরকে অন্ধকার ঘরে বন্দি করে রাখা হত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী নীতি করে তাদেরকে অন্ধকার থেকে সামনের দিকে নিয়ে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারী নীতিকে বাধাগ্রস্ত করে নারীদের আবার অন্ধকার যুগে নিয়ে যেতে চায়। বর্তমান সরকার নারী নীতির মাধ্যমে নারীদের অধিকার সরক্ষিত করা হয়েছে। নারী পুরুষের সম্মিলিত উদ্যেগেই দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান সরকার মহিলাদের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে জয়িতা অন্বেষন কার্যক্রম অন্যতম। জয়িতা অর্থ জয় করেছে যে নারী। পাঁচটি ক্যাটাগরিতে জয়িতাদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বলেন, জয়িতরা বেগম রোকেয়ার আদর্শ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্যই তারা জয়িতা হতে পেরেছেন।প্রেস রিলিজ