অবৈধ গ্যাস সংযোগের হিড়িক:: আইন ও অভিযান সত্ত্বেও দেদারছে চলছে :-বিচ্ছিন্ন করণে বিশেষ অভিযান প্রয়োজন
ষ্টাফ রিপোর্টার ॥ বাখরাবাদ গ্যাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে জনতার অভিযোগ, গ্যাস কোম্পানির কতিপয় ঠিকাদারদের মাধ্যমে এক শ্রেণীর কিছু অসৎ কর্মকর্তা অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদান করে বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট। বিচ্ছিন্নকরণ অভিযান সত্ত্বেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেদারছে চলছে ঠিকাদার ও সাব ঠিকাদারদের অবৈধ গ্যাস সংযোগের প্রতিযোগিতা । জনসাধারণের প্রশ্ন এই যে যে এলাকায় মূল লাইনই নেই সেখানে কি করে অনুমোদন দিয়ে বিল বই সরবরাহ করা হয় ? আর বিল বই সরবরাহ করা হলে ই কি বেধ হয়ে যাই! যদি মেইন লাইন অবৈধ হয় তাহলে কিভাবে লাইনটি বৈধ হয়? নির্ভর যোগ্য ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে প্রকাশ, কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ সুহিলপুর কেন্দুবাড়ি এলাকায় মামুন এন্টারপ্রাইজ এর প্যাডে ১০ ফুট পাইপ লাইনের নথি পাস করে প্রায় ৩ হাজার ফুট অবৈধ গ্যাস পাইপ লাইন স্থাপন করেছে। একই পদ্ধতিতে একই কোম্পনী মূল ৩ ইঞ্চি ব্যাসার্ধ পাইপ লাইন হতে ১ ইঞ্চি পাইপ দিয়ে হাজার হাজার ফুট গ্যাস সংযোগের নেটওয়ার্ক বিস্তার করেছে।
ইতিমধ্যেই ঐ ঠিকাদার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পশ্চিম পার্শে¦ উত্তর সুহিলপুর মাদ্রাসার পাশে উত্তর সুহিলপুর গনি রোড দিয়ে গ্রামের ভিতর ১ ইঞ্চি পাইপ দিয়ে প্রায় ৪ হাজার ফুট সংযোগ স্থাপন করেছে।
এ রকম আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে যেমন গৌতমপাড়া ষাটবাড়িয়ার হিন্দু পাড়া রোডে প্রায় ৬ হাজার ফুট লাইন পুরোটাই অবৈধ এবং অনেকগুলো রাইজার এখানে রহেছে। সবক’টি সংযোগই অবৈধ। সম্প্রতি পীরবাড়ি সংলগ্ন মার্কাজ পাড়ায়, ভাদুঘর খাদেম পাড়ায় ও পেট্টোল পাম্প এর বিপরীত দিকে, বিরাসার কবরস্থানের পশ্চিম দিকে বিপুল সংখ্যক অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদান করেছেন কথিত এ ঠিকাদাররা।
এ ব্যাপারে বাখরাবাদ গ্যাসের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার অবগত করা হলেও তারা অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণে রহস্যজনক নিরব ভূমিকা পালন করছেন। এব্যাপারে বাখরাবাদ গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক এর মুঠো ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার পক্ষ থেকে কোন সাড়া মিলেনি।