ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ আরও ৫ জেলার ১১ রেড জোনে সাধারণ ছুটি



করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) অতি ঝুঁকিতে থাকা দেশের ৫ জেলার ১১ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
সোমবার (২২ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী ও কুষ্টিয়ার ১১টি রেড জোন অঞ্চলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে আদেশ জারি করেছে।
এর আগে গতকাল মধ্যরাতে ১০ জেলার ২৭টি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
এতে বলা হয় ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে রোগের চলমান ঝুঁকি বিবেচনায় জন-চলাচল/জীবনযাত্রাভাবে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এই এলাকাগুলোকে রেড জোন ঘোষণা করায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এই ছুটির মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আদেশ অনুযায়ী এসব এলাকায় ২২ জুন থেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাধারণ ছুটি থাকবে।
আদেশ অনুযায়ী, শুধুমাত্র রেড জোন ঘোষিত এলাকায় সাধারণ ছুটি কার্যকর থাকবে। রেড জোন ঘোষিত এলাকায় বসবাসরত সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়ত্বশাসিত, সংবিধিবদ্ধ ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে।
রেড জোন ঘোষিত এলাকায় অবস্থিত সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়ত্বশাসিত, সংবিধিবদ্ধ ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় কর্মরত ও অন্য এলাকায় বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও এ ছুটি প্রযোজ্য হবে। জরুরি পরিষেবা এ সাধারণ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কোন কোন রেড জোনে কোন ২১ দিন সাধারণ ছুটি থাকবে আদেশে তাও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় বেশি আক্রান্ত এলাকাকে রেড (লাল), অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়োলো (হলুদ) ও একেবারে কম আক্রান্ত বা আক্রান্ত মুক্ত এলাকাকে গ্রিন (সবুজ) জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার। রেড জোনকে লকডাউন করা হচ্ছে, সেখানে থাকছে সাধারণ ছুটি। ইয়োলো জোনে যেন আর সংক্রমণ না বাড়ে সেই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। সতর্কতা থাকবে গ্রিন জোনেও।
৫ জেলার যেসব এলাকা রেড জোন:
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার সকল ওয়ার্ড ২৩ জুন থেকে পরবর্তী ২১ দিন রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে, সাধারণ ছুটি ২৩ জুন থেকে ৭ জুলাই।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার উত্তর সেওতা, গঙ্গাধরপট্টি, পশ্চিম দাশড়া এলাকা; সাটুরিয়া উপজেলার সাটুরিয়া ইউনিয়ন ও ধানকোড়া ইউনিয়ন এবং সিঙ্গাইর উপজেলার সিঙ্গাইর পৌরসভা ও জয়মণ্ডপ ইউনিয়ন রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে ১৩ জুন থেকে পরবর্তী ২১ দিন। আগামী ২৩ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের পাইকপাড়া ও কালাইশ্রীপাড়া, ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া এবং ৮নং ওয়ার্ডের কাজীপাড়া; নবীনগর উপজেলার নবীনগর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের হাসপাতালপাড়া ও পশ্চিমপাড়া, ৩নং ওয়ার্ডের টিএনটিপাড়া, ৪নং ওয়ার্ডের হাসপাতালপাড়া ও কলেজপাড়া এবং ৮নং ওয়ার্ডের ভোলাচং দাসপাড়া এলাকা, কসবা উপজেলার কসবা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আড়াইবাড়ি, ৫নং ওয়ার্ডের শীতলপাড়া এবং ৭নং ওয়ার্ডের সাহাপাড়া এলাকা রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে ১৩ জুন থেকে পরবর্তী ২১ দিন। সাধারণ ছুটি থাকবে ২৩ জুন থেকে ৪ জুলাই।
নরসিংদী জেলার মাধবদী পৌরসভার ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড (উত্তর বিরামপুর ও দক্ষিণ বিরামপুর) রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে ১৬ জুন থেকে পরবর্তী ২১ দিন, সাধারণ ছুটি থাকবে ২৩ জুন থেকে ৭ জুলাই।
কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া পৌরসভার ১, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১৫, ১৮ ও ২০নং ওয়ার্ড এলাকা; ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ও চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন; ভেড়ামারা পৌরসভার ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড এলাকা রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
>> যে ৫ জেলার ১১ রেড জোনে সাধারণ ছুটি