Main Menu

জামিন পেয়েই মনোনয়ন কিনলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা একরামুজ্জামান

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান। গত ২ নভেম্বর নাসিরনগর থানার বিস্ফোরক মামলার আসামি তিনি। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (তৃতীয় আদালত) বিচারক রকিবুল হাসান তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিকে জামিনের তিন ঘণ্টার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে নির্বাচনের জন্য রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে একরামের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন এক ব্যক্তি।

উপজেলা রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কাওছার জানিয়েছেন, একরামুজ্জামানের পক্ষে ব্যাংকে টাকা জমার চালান দিয়ে বকুল মিয়া নামে এক ব্যক্তি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে একরামুজ্জামান বলেন, ‘এখন ঢাকায় যাচ্ছি। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে এই মুহূর্তে বলার মতো কিছু নেই। এখনই সবকিছু পরিষ্কার করতে চাচ্ছি না।’

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর রাতে নাসিরনগর উপজেলার কাঁশফুল রেস্তোরাঁর সামনে সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে বিস্ফোরক আইনে ৩৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন এসআই রুপন নাথ। ওই মামলায় একরামুজ্জামানকে চার নম্বর আসামি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এরপর থেকে পুলিশ তাকে খুঁজছিল।

সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে আসনে একরামুজ্জামান। আদালতে তার ১৫-২০ জন আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন। এ সময় আদালত আইনজীবীদের বক্তব্য শোনেন ও প্রমাণপত্র দেখে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

একরামুজ্জামানের আইনজীবী আলী আজম বলেন, ‘বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া মামলার তারিখ গত ২ নভেম্বর উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ঘটনার সময় একরামুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপস্থিত ছিলেন না।
কারণ গত ২ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি একটি মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার ওই আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। এই প্রমাণপত্রসহ আরও অন্যান্য প্রমাণপত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পেশ করা হয়েছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য হলেন আওয়ামী লীগের বি এম ফরহাদ হোসেন। এবারও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী প্রয়াত ছায়েদুল হক। তাঁর মৃত্যুর পর এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের অবস্থান কিছুটা পরিবর্তন হয়। আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ১৩ জন।