ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সভা ও দোয়া
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদের স্মরণে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম। সভার শুরুতেই নিহত ও আহতদের স্মরনে নিরবতা পালন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাভেদুর রহমান, সিভিল সার্জন মো. নোমান মিয়া, ডিডি সমাজ সেবা আ. কাইয়ুম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীর মো. গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি মো. জসিমউদ্দীন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য বায়েজিদুর রহমান সিয়াম, নিহতের পক্ষে নিহত হোসাইনের পিতা ও আহতদের পক্ষে ইউনাইটেড কলেজের ছাত্র নাটাই গ্রামের দীন ইসলাম।
বক্তারা বলেন, ‘পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ তোলার জন্য যারা দায়ী তাদের বিচার হবেই হবে। যখন অত্যাচার চলতে থাকে তখন আল্লাহর তরফে বাহিনী নেমে আসে। দুই হাজার মানুষ মারা গেছে। এ হত্যার বিচার হবেই। আল্লাহর তরফ থেকে বিচার হবে। পৃথিবীতে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। সরকার আমাদের প্রতি আস্থা রাখতে পারেন। আলোচনা শেষে জেলা কোর্ট মসজিদের ইমাম মো. আবদুল্লাহ নিহতদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষে নিহত ও আহতদের প্রাইজবন্ড এবং ফুল ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। তারমধ্যে আহত ১৪ জনকে তাদের হাতে ও এবং নিহত একজনের পরিবারের হাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম ওই উপহার তুলে দেন।