মালিতে যেভাবে হামলার মুখে পড়েছে বাংলাদেশী সেনারা



পশ্চিম আফ্রিকার সংঘাতময় দেশ মালি। ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে মালির ইতিহাস অস্থিরতায় পরিপূর্ণ।
দীর্ঘ সামরিক শাসন এবং গোষ্ঠিগত সংঘাতে বিপর্যস্ত এ দেশটিতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা কাজ শুরু করে ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে।
২০১২ সাল থেকে দেশটিতে সংঘাতের জোরালো হয়। দেশটিতে স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে শান্তিচুক্তি হলেও সেটি টেকসই হয়নি।
এরপর মালি সরকারের অনুরোধে ২০১২ সালের শেষের দিকে জাতিসংঘ দেশটিতে বহুজাতিক শান্তিরক্ষী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
কিন্তু তারপরেও সংঘাত থেমে থাকেনি। বিভিন্ন সময় শান্তিরক্ষীরা আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।
সে রকম একটি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে গত ২৩শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের উপর।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর বলছে, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সময় গত ২৩শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সাথে সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ হয়।
সে ধারাবাহিকতায় ২৪ শে সেপ্টেম্বর দায়িত্ব পালন শেষে ক্যাম্পে ফেরার সময় সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হয় শান্তিরক্ষীরা সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের পুঁতে রাখা ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি বিস্ফোরণে তিনজন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী নিহত এবং চারজন আহত হয়।
মালিতে কর্মরত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীর সংখ্যা প্রায় ১৭০০ যার মধ্যে সেনা সদস্যের সংখ্যা প্রায় ১৩০০।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেবার পর থেকে ১৩৫ জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২০জন পুলিশ বাহিনীর সদস্য এবং বাকি সবাই সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য।