Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পঞ্চম দিনেও আসেনি নমুনার ফল, নমুনাদাতাদের অসন্তোষ

+100%-

আল মামুন::করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো নমুনার ফল পঞ্চম দিনেও আসেনি। সর্বশেষ ১২ জুন জেলার বিভিন্ন এলাকার ৫৩ জনের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল আসে। এনিয়ে নমুনা দেয়া লোকজনসহ সকলের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। পাশাপাশি এক সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল না আসায় পরবর্তিতে আসা ফলাফলের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। তবে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ জানান ফলাফল দ্রুত পেতে তারা যোগাযোগ করছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ১০ এপ্রিল জেলার নবীনগরে প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সনাক্ত হয় । এরপর থেকে শনাক্তের হার অনেকটাই কমে যায়। গত এপ্রিল ও মে মাসে জেলাজুড়ে করোনা আক্রান্তের হার কিছুটা কম থাকলেও জুন মাসের শুরু থেকেই বাড়তে থাকে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এতে করে জেলার সবগুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বাড়তে থাকে করোনা বা কোভিড-১৯ পরীক্ষার চাপ।
জেলায় করোনা বা কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন পিসিআর ল্যাব না থাকায় প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাব মেডিসিন ও রেফারেন্স সেন্টার আগারগায়ে পাঠাতে হয় পরীক্ষার জন্য। আগে যেখানে প্রতিদিন এক থেকে দেড়শ রিপোর্ট পাঠানো হত বর্তমানে প্রতিদিন পাঠানো হচ্ছে চার থেকে সাড়ে চার’শ নমুনা। এতে করে ঢাকায় ল্যাবে সারাদেশের নমুনা জমা হওয়ার কারনে রিপোর্ট দিতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলায় মোট ৪’শ ছয়জন করোনায় আক্রান্ত। এর মধ্যে ৮৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ জন। এছাড়া বর্তমানে প্রতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ৪০ জন ও সেলফ আইসোলেশনে রয়েছেন ২’শ ৭৫ জন।

এদিকে ফলাফল আসতে দেরি হওয়ায় নমুনা দেয়া ব্যক্তিরা হোম কোয়ারেন্টিন মানছেন না। অনেকেই লক্ষণ বা উপসর্গ নিয়েই ঘুরছেন জেলাজুড়ে। অনেকেই রিপোর্ট আসতে দেরি করার কারনে বাসায় বসে থাকতে চাচ্ছেন না। বুধবার বিকাল চারটা পর্যন্ত জেলায় নতুন কোন নমুনার রিপোর্ট আসেনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধীক নমুনা দেয়া ব্যক্তি জানান, ৭, ৮, ৯  ও ১০ জুন করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জন্য নুমনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু পাঁচ থেকে সাতদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত রিপোর্ট আসেনি। রিপোর্ট পজেটিভ বা নেগেটিভ তা জানা ছাড়াই বাসায় বসে থাকতে হচ্ছে।এভাবে আর কতদিন বসে থাকতে হবে জানি না। আর সাতদিন পরে যে ফলাফল আসতে তার কার্যকারিতা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনা করে নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকারিভাবে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি করেছেন এলাকাবাসি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ জানান, পিসিআর ল্যাব না থাকায় প্রতিদিন চার থেকে পাঁচশ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাব মেডিসিন ও রেফারেন্স সেন্টার আগারগাওয়ে পাঠাতে হয় পরীক্ষার জন্য। সারাদেশ থেকে নমুনা বেশী বেশী আসতে থাকায় চাপের কারনে ফলাফল আসতে দেরি হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ১ হাজার ৬’শ নমুনার রিপোর্ট ঢাকায় আটকে রয়েছে। তবে আমরা প্রতিদিন ফলাফল পাওয়ার জন্য তাগদা দিচ্ছি। আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।






Shares