করোনাভাইরাস উপসর্গে আইসোলেশনে থাকা বাঞ্ছারামপুরের সেই কৃষকের মৃত্যু



করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা ব্রাহ্মণাবড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সেই কৃষক মারা গেছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ।
তবে ওই কৃষক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত নন তিনি।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই কৃষক আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান। তবে তার শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পরীক্ষার জন্য তারা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল কী-না সে বিষয়ে জানা নেই আমার। রিপোর্ট আসার পরই এ বিষয়ে নিশ্চিত করা বলা যাবে।
বুধবার রিপোর্ট আসতে পারে বলে জানান তিনি।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসির উদ্দিন সরোয়ার জানান, ওই কৃষকের সংস্পর্শে আসা ১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মৃত ওই কৃষকের বয়স ৪৫ বছর এবং তিনি আইয়ূবপুর ইউনিয়নের চরছয়ানী গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ওই কৃষক অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার সকালে তাকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে এবং অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন দুপুরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর থেকে সেখানে আইসোলেশন ওয়ার্ডে থেকে চিকিৎসা চলছিল তার।