Main Menu

পরিবেশের সুরক্ষায় বৃক্ষরোপন আবশ্যক

+100%-

মোঃআব্দুলহান্নান,নাসিরনগর,ব্রাক্ষণবাড়িয়াঃÑলাগাব বৃক্ষ,তাড়াব দুঃখ।গাছপালাতে ভরবো দেশ গড়বো সোনার সবুজদেশ। গাছের অপর নাম জীবন।গাছপালা মানুষের জীবন রক্ষাকারী উদ্বিদ।গাছপালা ছাড়া একটি মূর্হুতে ও কোন মানুষকে বেচে থাকা সম্ভব নয়।গাছপালা মানুষের ত্যাগ করা বিষাক্ত গ্যাস কার্বণডাই অক্সাইড গ্রহণ করে।আর মানুষকে বেচে থাকার জন্য জীবনরক্ষাকারী অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে।তাই গাছপালা মানুষের নিত্যদিনের জীবনসঙ্গী হিসেবে কাজ করে।আমাদের মোট ভ’খন্ডের তিন ভাগের দুইভাগ জল । একভাগ স্থলভুমি রয়েছে।পরিবেশবিদদের মতে এই একভাগ স্থলভুমির  চার ভাগের একভাগ অর্থ্যাত ২৫% বন জঙ্গল থাকা আবশ্যক।কিন্তু আমাদের দেশে বনজঙ্গল রয়েছে মাএ১৭%।আরো বাকী আছে ৮%বনজঙ্গল।তাই পরিবেশের সুরক্ষায়,মানুষের বেচে থাকার প্রয়োজনে আরো গাছপালা রোপন করে দেশে সবুজ বনায়ন করা  আবশ্যক।বৃক্ষরোপন মানুষের একটি বিশেষ শখ।এতে মানুষ ও প্রকৃতি থাকে কাছাকাছি।মানুষ সুযোগ পায প্রকৃতির কিছু ্ঋণ শোধ করতে।তবে অনেকেই না জেনে না বুঝে এমন কিছু গাছ লাগান যা আমাদের মাটি ওপরিবেশের জন্য একবারেই উপযোগী নয়।বরং অন্য গাছের বৃদ্বিতে সে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।এমনই একটি বহুর রোপিত গাছের নাম ইউক্যালিপটাস।যার আদি নিবাস অষ্ট্রেলিয়া। পরিবেশের ভারসা¤্র রক্ষায় এ গাছের গুরুত্ব নেই বললেই চলে। আমাদের দেশী গাছের মতো প্রাকৃতিক উপকারী গাছ সে নয়।৫ তেকে ১০ বছর বযসী একটি  ইউক্যালিপটাস গাছ বছরে ৫০০ থেকে ১০০০মিলি মিটার পানি শোষণ করে। আমাদের দেশে সংরক্ষিত বনাঞ্চল গুলোতে এ গাছ লাগানো নিষিদ্ধ। টিউবওয়েল বা কুয়োর আশে পাশেউইক্যালিপটাস গাছ থাকলে অনেক ক্ষেত্রে টিউবওয়েলের পানি উঠা বন্ধ হয়ে যায় এবং কুয়ার পানির স্তর অনেক নীচে নেমে যায়।এ গাছ মাটিকে পানি শুন্য ও অনুর্বর করে ফেলে।ময়মনসিংহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এ রহিম বলেন ,ইউক্যালিপটাস জিরোপ্যাট্রিক ন্যাচারের গাছ।বিধায় সে মাঠির গভীর থেকে পানি শোষণ বেশী করে।  অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে পানি প্রাপ্যতা আজ হুমকির সম্মুখিন।যা ভবিষ্যতে আঞ্চলিক ও আর্ন্তÍৃজাতিক সংঘাতের কারণ হতে পারে ।আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ প্রায় ২০ কোটি মানুষ পানি সংকটে ভুগবে।তাই পানি উত্তোলন এবং ব্যাবহারে আরো বেশী সর্তক হওয়া দরকার।৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ৬ জুন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি ( বেলা) রাজশাহী মহানগরের টিকাপাড়ার ইউসেফ সিটিকর্পোরেশর স্কুলে পরিবেশ বিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন ইউসেফসিটি কর্পোরেশন স্কুলের অ্যাডমিনিষ্ট্রেটর মোঃ সামির উদ্দিন মিয়া।আলোচনা সভায় মুল প্রবদ্ধ উপস্থাপন কালে আরো বলা হয়,পৃথিবিতে বর্তমানে প্রায় ৭০০কোটি মানুষের বাস।২০৫০ সাল নাগাদ তা বেড়ে প্রায় ৯৬০ কোটিতে পৌছতে পারে।জনসংখ্যার ভারে পৃথিবী নুয়ে পড়েছে ।এম এ রহিম আরো বলেন,ফল গাছ উন্নয়নের প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা এখন নানা জাতের ফলের গাছ ছড়িয়ে দিয়েছি।ফলের শুধু পুষ্টি সাধনই করে না অর্থনৈতিক ভাবে ও অত্যান্ত লাভজনক। সবচেয়ে বড় কথা  পরিবেম বান্ধব এই দেশী বৃক্ষ রোপন করার ফলেই আমাদের চারপাশের বিপন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশ তার নির্সগময় ভারসাম্যকে ফিরে পেতে পারে।তাই আমাপদের বারবার পরিবেশ ও প্রকৃতির  কথা চিন্তা করে আমাদের বাড়ির আশে পাশে পতিত খালি জায়গা,জেলা পরিষদ ,এল জি ই ডি,রাস্তার দুই ধারে ,জমির আইলে,পুকুর,ডোবা,পরিত্যাক্ত জলাশয়ের ধারে ও নদীর পাড়ে স্কুল ,কলেজ,মাদ্রাসা,ঈদগাহ,কবরস্থান ,স্মশানের খালি জায়গায় বৃক্ষরোপন আবশ্যক। সরকার এ সমস্ত পরিত্যাক্ত জায়গায় সরকারী অর্থ্যায়নে বৃক্ষরোপন করলে দেশ সবুজ নগরীতে পরিনত হবে।গত বছর বিশ্ব পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের উপর সেনেগালে সম্মেলন অনুষ্টিত হয়।এতে সভাপতি করা হয় বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে।পরিবেশ বিদদের মতে দেশে যেহারে জনসংখ্যা বাড়ছে ।সে হারে গাছপালা না বেড়ে বনজঙ্গল উজাড় হচ্ছে।মানুষের তুলনায় পয্যাপ্ত পরিমানে বৃক্ষ না থাকায,গাছপালা থেকে মানুষ যে  পরিমান অক্সিজেন পাওয়ার কথা তা পা”্ছনো।তাই বায়ু মন্ডলে অক্সিজেনের তুলনা কার্বণডাই াক্সাইডের পরিমান বেড়ে যাওয়ায় উষ্ঞতা বৃদ্দি পেয়ে গরমের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।এভাবে বাংলাদেশ সহ বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়তে থাকে।






Shares