Main Menu

সরাইলে পুলিশ ও যুবদল ছাত্রদল সংঘর্ষ:অবরুদ্ধ পুলিশ,পুলিশ ও সাংবাদিক সহ আহত- ৩০

+100%-

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পুলিশ ও হরতালকারী যুবদল ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার সকালে পূর্ব ঘোষিত আধাবেলা হরতালের সমর্থনে হরতাল সমর্থনকারীদের একটি মিছিলে বাঁধা দিলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালে তিন পুলিশ সদস্যকে ইউনিয়ন পরিষদে অবরুদ্ধ করে রাখে পিকেটাররা। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ও সাংবাদিক সহ আহত হয়েছে অন্তত: ৩০ জন।
পুলিশ,প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, গত বুধবারে বালিকা বিদ্যালয়ে ভাংচুর শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া ও নাশকতার অভিযোগ এনে পুলিশ বাদী হয়ে যুবদল ছাত্রদলের ১৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ৩০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পরের দিন বৃহস্পতিবার ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে স্থানীয় বিএনপি,র দুই সংঘটনের নেতাকর্মীরা। ওইদিন তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে তারা সরাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে পথ সভায় মিলিত হয়। পথ সভায় পুলিশের মামলাকে মিথ্যা বানোয়াট উল্লেখ করে এটি প্রত্যাহারের জন্য ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দেয় নেতারা। তারা ঘোষনা দেয় মামলা প্রত্যাহার না করলে রোববার গোটা সরাইলে আধাবেলা হরতাল পালনের। সারাদেশে ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল সেইসাথে স্থানীয় যুবদল ছাত্রদলের ডাকা হরতাল মিলিয়ে অনেকটা উজ্জিবিত হয়ে মাঠে নামে পিকেটাররা।
গতকাল সকাল ৭টা থেকেই সরাইল সদরে জোরদার হয় পুলিশি টহল। সেই সাথে সদরের আশেপাশে চলে হরতালের পক্ষে মিছিল। সরাইল থানা পুলিশ সরাইল-অরুয়াইল সড়কের শহীদ মিনার সংলগ্ন স্থানে অবস্থান নেয়। সকাল ৯টায় সরাইল প্রাত: বাজার এলাকা থেকে আসতে থাকে একটি মিছিল।
পুলিশের সাথে পিকেটারদের চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এক পর্যায়ে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে সরাইল- অরুয়াইল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাজারের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ২৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়েছে। এক ঘন্টা স্থায়ী এ তান্ডবে সাংবাদিক, পুলিশ ও পিকেটার সহ অন্তত ত্রিশ জন আহত হয়েছে। সাংবাদিক শফিকুর রহমান, আহত হয়েছে। সকাল ১১টায় ঘটনাস্থলে হাজির হয় অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব-১৪’র সদস্যরা, গোয়েন্দা পুলিশ ও বিশেষ আনসার বাহিনী। যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম খন্দকার মুন্না ও ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন উজ্জল বলেন, পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি চালিয়েছে। পরে এলাকার সাধারন লোকজন তাদের উপর হামলা করেছে।






Shares