ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল চুরি বেড়েছে



মনিরুজ্জামান পলাশ : যানজট ও অন্যান্য কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরসহ উপজেলায় মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত কয়েক বছরে অনেকগুণ বেড়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মোটর সাইকেল বাড়ছে চুরি ও ছিনতাইর ঘটনা। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে গড়ে ৮/১০টি মোটরসাইকেল চুরি হচ্ছে। পুলিশ কোনোভাবেই এই চুরি ঠেকাতে পারছে না। চুরির ঘটনার পর শুধু জিডি রেকর্ড করেই যেন পুলিশের দায়িত্ব শেষ। মোটরসাইকেল চুরির বিষয়টি গুরুত্ব দেয় না সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ—এ অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের। শহরে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা এমনভাবে বেড়েছে যে, অফিস, মার্কেট, হাসপাতাল ও এমনকি বাড়ির সামনে রেখে নিশ্চিন্ত থাকতে পারছেন না এর মালিকরা। সর্বত্রই তারা এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। বাড়ির গেট বা কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙেও মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের শিকার মালিকদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানিয়ে দ্রুত সহযোগিতা চাইলে পুলিশের পক্ষে বলা হয়, আগে মামলা করুন পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলার এজাহার লিখে রেকর্ডের পর তদন্তকারী নিযুক্ত হতে যে সময় নষ্ট হয়, ততক্ষণে মোটরসাইকেলটি চলে যায় হাতের নাগালে। জেলা জর্জকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবি কামরুজ্জামান অপু জানান, গত বছরের ডিসেম্বরে তার বড় ভাইয়ের পালসার ১৫০সিসি লাল রং ও তার নিজের পালসার ১৫০ সিসি কাল রঙ্গের দুটি গাড়ি একই সময়ে চুরি করে নিয়ে গেছে। এসময় তাদের বাসার প্রধান গেট, কলাসিপল গেট, মোটর সাইকেলরে লক, হাইড্রোলিক লক, রুমের লক কেটে সাইকেল দুটি নিয়ে যায়। থানায় অভিযোগ দেয়ার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও মোটর বাইকের কোন হসিদ করতে পারছেনা পুলিশ। একাদিক ক্ষতিগ্রস্থ মালিক জানান, সাইকেলের মধ্যে বড় তালা দিয়ে শেকল বাঁধাসহ কয়েক জাতীয় নিরাপত্তা ডিভাইস ব্যবহার করলেও চোরেরা আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তা কেটে, ভেঙ্গে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। মোটর সাইকেল চুরি রোধে পুলিশি অভিযান বাড়ানোর জোর দাবি জানান তারা। |