Main Menu

আ.লীগ-যুবলীগের এক ডজন নেতা-কর্মীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

+100%-
ডেস্ক ২৪:যুবলীগ নেতা রিয়াজউদ্দিন খান মিল্কি হত্যাকাণ্ড ও এর প্রধান আসামি তারেক র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার পর আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের প্রায় এক ডজন নেতা দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। মিল্কি হত্যার ঘটনায় অন্তত এক ডজন নেতার সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এনিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন এসব নেতা-কর্মী। মিল্কি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল হক টিপু, যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুল ইসলাম আরিফ, সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল ও কার্ন্নি সোহেলের গভীর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কিসমত হায়াৎ জানান, অভিযুক্তরা যাতে বিদেশে পালাতে না পারে সেজন্য স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে এদের বিষয়ে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করতে পারলে মিল্কি হত্যার অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।

গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, নির্বাচনের আগে অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে আরও খুনের ঘটনা ঘটতে পারে। এসব ঘটনায় নিয়োগ হবে পেশাদার কিলার। আর এ ধরনের আশঙ্কায় অনেকেই দেশ ছেড়ে বিদেশ পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তাদেরই ঘনিষ্ঠজনেরা। গোয়েন্দা সংস্থাটি আরো জানতে পেরেছে, মিল্কি খুনের বিষয়ে দলের অনেক নেতাই জানতেন। তাদের স্পষ্ট সিগন্যাল না থাকলে কখনো তারেক এ কাজ করার সাহস পেত না। কিলার তারেককে খুন না করলে অনেক মহারথীর নামই ফাঁস হয়ে যেত।

এদিকে, রাজধানীতে একের পর এক রাজনৈতিক নেতা খুনের ঘটনায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। এ ছাড়া চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। গত মাসেই অন্তত আটজন রাজনৈতিক দলের নেতা খুন হন। অধিকাংশ খুনই হয় টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি নিয়ে।

যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যাকাণ্ডের পর সরকারে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে জাহিদ সিদ্দিকী তারেক ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হওয়ার পর এর আশংকা আরো বেড়ে গেছে। যে কারণে অনেক নেতা-কর্মীই ক্রসফায়ার এবং গ্রেপ্তারের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য দেশ ছেড়ে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গোয়েন্দাদের ধারণা, রাজধানীর মতিঝিল ও এর আশপাশের এলাকায় আওয়ামীলীগ-যুবলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে আরো বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা খুন হতে পারেন।

র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্ণেল জিয়াউল আহসান জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক পেশী শক্তি ব্যবহার হতে পারে। এসময় অনেক খুন কিংবা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। তবে সব ধরনের আশংকা মাথায় রেখেই র‌্যাব  তৎপর রয়েছে।






Shares