Main Menu

তিস্তা চুক্তি করতে উদগ্রীব হাসিনা: আজকাল

+100%-
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কলকাতা: বাংলাদেশে আগামী বছরের সংসদ নির্বাচন। ভোটের আগে ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি করে ফেলতে উদগ্রীব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ ব্যাপারে কথা বলতে তিনি দিল্লি পাঠাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. দীপু মনিকে। সোমবার এই খবর দিয়েছে ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক ‘আজকাল’।

আজকাল লিখেছে, ঢাকায় রমজান মাসে ইফতারের আয়োজনে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। উদ্দেশ্য রাজনৈতিক প্রচার। জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে গত সোমবার ইফতারে হাজির হয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জনসাধারণের উদ্দেশে ডাক দিয়েছেন, বিদেশী রাষ্ট্রের দালালদের আর ক্ষমতায় আনবেন না।

ওই দালালরা ইসলামকে ধ্বংসের চক্রান্ত করছে। জামায়াতে ইসলামী বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের জোটের শরিক। খালেদা ভোটের আগে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানিয়েছেন। নইলে ব্যাপক আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার একটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বলেছেন, যারা বাংলাদেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে (হাসিনার লক্ষ্য তার দুই ছেলে), তাদের ভোট দেবেন না। দেশবাসীকে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার জন্য আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সরকারকেই আবার ফিরিয়ে আনতে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ কথার কারণ যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল ’৭১-এর রাজাকার, আলবদর হিসেবে অভিযুক্তদের বিচারের যে রায় দিচ্ছে তা কবে কার্যকর হবে, তা নিয়ে নানা কথা উঠেছে। অনেকেই বলছেন, যাদের ফাঁসির রায় দেয়া হচ্ছে, তা কার্যকর হতে হতে হাসিনা সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।

অন্য সরকার, বিশেষত যে সরকারে জামায়াতে ইসলামীও শরিক হবে, তারা এলে রাজাকার, আলবদর হিসেবে ফাঁসির রায়, যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া নেতারা মুক্তি পেয়ে যাবেন। বিষয়টি নিয়ে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনাও হচ্ছে। রাজাকার, আলবদর হিসেবে অভিযুক্ত নেতাদের বিচারের দাবিটি ছিল বহুদিনের।

আজকাল লিখেছে, সমালোচনা হচ্ছে, হাসিনা সরকার কেন এতো দেরিতে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক আগে বিচারের ব্যবস্থা করল। বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন ২০১৪’র গোড়ায়। অনেকে আগাম ভোটেরও সম্ভাবনা দেখছেন, এ বছরের শেষে।

এই সময় ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি করতে হাসিনা সরকার উদগ্রীব। তিস্তা চুক্তি নির্বাচনের আগে হয়ে গেলে নির্বাচনী প্রচারে তা সাফল্য হিসেবে দেখাতে পারবেন হাসিনা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে তিস্তা চুক্তি হতে পারেনি।

পত্রিকাটি জানায়, সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের কথা। ভারত তিস্তা চুক্তি করার ব্যাপারে বাংলাদেশে সরকারকে জোর দিয়েই আশ্বস্ত করেছে। বাংলাদেশ আশা করছে সেপ্টেম্বরে হাসিনার সফরেই তিস্তা চুক্তি হয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং,পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিণ্ডের সঙ্গে কথা বলতে ২৫ জুলাই দিল্লি যাচ্ছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।






Shares