বর্ষীয়ান আ’লীগ নেতা আব্দুল জলিল আর নেই



দীর্ঘদিন ধরে তিনি হৃদরোগ, কিডনি ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। তার স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। এর আগে সোমবার রাতে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার বাইপাস অপারেশন করা হয়। আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এ নেতা দীর্ঘদিন থেকেই ছিলেন দলীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বাইরে। ২০০৭ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল জলিল। আলোচিত ওয়ান ইলেভেনের সময়ে নানা ঘটন-অঘটন ঘটিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচিত হন আওয়ামী লীগের এ নেতা। এরপর দীর্ঘদিন কারাভোগ করতে হয় তাকে। আব্দুল জলিল কারাগারে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। জেল থেকে বেরিয়ে রাজনীতিতে ফিরে এলেও পূর্বের অবস্থান তো দূরের কথা আব্দুল জলিলের ঠাঁই হয় দলের উপদেষ্টা পরিষদে। নওগাঁ থেকে বারবার নির্বাচিত এ সংসদ সদস্য জীবনের শেষ দিনগুলোতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। মাঝে মধ্যে আসতেন দলীয় কর্মসূচিতে, তাও আবার আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে আওয়ামী রাজনীতিতে আসা নেতাদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক গত বছর মারা যাওয়ার পর এ বছর মারা গেলেন আব্দুল জলিল। |