বাংলাদেশসহ এশিয়ার পাঁচ দেশে মার্কিন বিশেষ বাহিনী!
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর কয়েকটি টিম এখন বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশে অবস্থান করছে। এই পাঁচটি দেশকে সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা করার জন্যই তারা এখানে অবস্থান নিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার পেন্টাগনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।
পেন্টাগন কমান্ডার অ্যাডমিরাল রবার্ট উইলিয়ার্ড জানিয়েছেন, মার্কিন প্যাসিফিক কমান্ড এই টিমগুলো মোতায়েন করেছে। এসব দেশে বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে সন্ত্রাম দমন সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের এখন বিশেষ বাহিনীর সহযোগিতা দল রয়েছে যাদের প্রশান্তমহাসাগরীয় সহযোগিতা টিম বলা হচ্ছে- এরা বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ এবং ভারতে রয়েছে।’
কংগ্রেসে শুনানির সময় সন্ত্রাস দমনে ভারতকে সহযোগিতার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য দেন অ্যাডমিরাল উইলার্ড।
তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে তারা গভীরভাবে কাজ করছেন। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে সন্ত্রাস দমন সক্ষমতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে এটা হচ্ছে সরাসরি দুই সরকারের মধ্যে, অপহিার্যভাবে প্রতিরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে নয়। ভারতের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে অন্য সংস্থাগুলোও ভারত সরকারকে সহায়তা করছে বলে জানান তিনি।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশকে উদীয়মান কার্যকর অংশীদার বলে র্বণনা করেছেন উইলার্ড। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই বাহিনী জাতিসংঘ শান্তি মিশনে তাদের ভূমিকা বিস্তৃত করছে এবং তাদের সক্ষমতাও বাড়াচ্ছে।
সেই সঙ্গে নিয়মিত ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন তিনি।
এ সময় পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বাকে সবচে ভয়ঙ্কর বলে আখ্যায়িত করেন উইলিয়ার্ড।
তিনি বলেন, কৌশলগত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্ব অত্যধিক। ভারত যেনো সেখানে নোঙ্গর। গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র পথগুলো; যে পথে জ্বালানি পরিবহন এবং মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের সঙ্গে এশিয়া ও আমেরিকার বাণিজ্য রয়েছে- এ অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগন মিশনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উইলার্ড আরো বলেন, এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার বড় চ্যালেঞ্জ পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। মানব ও মাদক পাচার, সীমান্ত বিরোধ এবং জঙ্গি তৎপরতা যা ভারত, নেপাল এবং শ্রীলংকার জন্য বড় সমস্যা হয়ে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।