বারক ওবামার গাড়ী
গাড়ীটা এই গ্রহের সবচাইতে ক্ষমতাধর মানুষ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার গাড়ী ক্যাডিলাক-১।এবার নীচের ছবিটা দেখুন আর তারপর শুনুন এই গাড়ীর বিশেষ গুনাবলী: প্রতিটি অংশের নাম ইংরেজীতে তীর চিহ্ন দিয়ে দেখানো আছে।
বডি: পুরো বডি মিলিটারি গ্রেড পাঁচ ইন্চি পুরু আরমার প্লেট (বুলেট প্রুফ) দিয়ে মোড়া। এই আরমার প্লেট বিশেষ ধরনের ইস্পাত, সিরামিক এলুমিনিয়াম টাইটানিয়াম ইত্যাদির মিশ্রনে তৈরী যা বড় ধরনের বুলেটকে আটকাতে সক্ষম। সেনাবাহিনীর ব্যাবহৃত রাইফেলের বা একে-৪৭ এর বুলেটকে এ পাত্তাই দিবেনা।
পিছনে প্রসিডেন্টের কম্পার্টমেন্ট: পিছনের দরজা খোলা বা জানালার কাচ নামানোর সুইচ প্রেসিডেন্টের কাছে থাকে, অন্য কেউ খুলতে পারবেনা। এছাড়া আছে স্যাটেলাইট ফোন যার দ্বারা মুহুর্তের মধ্যে প্রসিডেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্টের সাথে যোগাযোগ স্হাপন করতে পারেন।
দরজা: ৮ ইন্চি পুরু আরমার প্লেট দিয়ে ঢাকা।
তেলের ট্যাংক: পুরোটাই আরমার প্লেট দিয়ে ঢাকা, এছাড়া আছে বিশেষ ধরনের ফোম যা ঐ ফুয়েল ট্যাংক সরাসরি আঘাত খেলেও বিষ্ফোরিত হবেনা।
শোফার: ইউএস সিক্রেট সার্ভিস দ্বারা বিশেষভাবে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত। তিনি সেকেন্ডে ১৮০ ডিগ্রি টার্ণ নিতে এবং যে কোন পরিস্হিতিতে দ্রুত স্হান ত্যাগ করতে সক্ষম। তার কাছেই রয়েছে বিশেষ ধরনের জিপিএস এবং পৃথিবীর যে কোন স্হানের সাথে মুহুর্তের মধ্যে যোগাযোগ করার যন্ত্রপাতি।
চালকের জানালা। এটা শুধু মাত্র ৩ ইন্চি পর্যন্ত নামবে যাতে পাশের দৌড়রত বা চলমান সিক্রেট সার্ভিসের লোকদের সাথে চালক কথা বলতে পারেন।
বুট বা ডিকি: এখানে অক্সিজেন আর আগুন নেভানোর যন্ত্রপাতি রাখা হয়।
চালকের পাশের আসন। এখানে নাইট ভিশন গগলস (অন্ধকারে দেখার জন্য) আর ছোটখাট যুদ্ধ করার জন্য শট গান থাকে। তাছাড়া আছে ইমার্জেন্সির সময় ব্যবহারের জন্য প্রসিডেন্টের ব্লাড গ্রুপের এক ব্যাগ রক্ত।
চ্যাশিস: পুরোটাই বিশেষ আর্মার প্লেট দিয়ে ঢাকা, যাতে নীচে বোমা বা গ্রেনেড ফাটলেও গাড়ীর কিছুই হবেনা, প্রেসিডেন্ট অক্ষত থাকবেন।
টায়ার: বিশেষ ধরনের পাংচার প্রুফ টায়ার, এছাড়া আছে চাকার বিশেষ ধরনের ইস্পাতের রিম, যদি কোন কারনে টায়ার উড়ে যায়, তবু গাড়ীটি নিরাপদ জায়গাতে চলে যেতে সক্ষম।
এটার ওজন: আট টন। সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ৬০ মাইল
দাম: ট্যাক্স ছাড়া ১০ লাখ পাউন্ডের মত। খুব বেশি না, কি বলেন?
তবে এটাও যে রাস্তায় ফেসে যায় দেখুন:
সবশেষে একটা কথা, এই মহা শক্তিধর রাস্ট্রের মহা ক্ষমতাবান চার চার জন প্রেসিডেন্ট দুর্ভাগ্যক্রমে আততায়ীর হাতে খুন হয়েছেন।