Main Menu

হোয়াইট হাউজ ও বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিএনপি

+100%-

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বরাবরে স্বারক লিপি প্রদান এবং হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিএনপি ও এর ৩৪টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। সঙ্গে ছিল ফোরাম ফর ডেমোক্রেটিক রাইটস ইন্ক বাংলাদেশ।

শুক্রবার বেলা ২টায় ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বিকেল ৪টায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বাসবভন হোয়াইট হাউজের সামনে তারা বিক্ষোভ করেন।

নেতৃত্ব দেন বিএনপি নেতা শরাফত হোসেন বাবু ও বেলাল মাহমুদ।

বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি প‍ুনর্বহাল, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ, সীমান্তে মানুষ হত্যা, বিএনপির মিছিলে গুলি করে কর্মী হত্যা, রাষ্ট্রীয় লুণ্ঠন বন্ধ, যুদ্ধাপরাধের নামে রাজনীতিবিদদের গ্রেফতার, শেয়ারবাজার কেলেঙ্ককারী, রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, খুন, গুম, দুর্নীতি, ঘুষ, স্বজনপ্রীতি এবং বিদেশে অর্থ পাচারসহ দেশের সবর্ত্র আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ  সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়া, দেলওয়ার, নিউজার্সি, জর্জিয়া, ম্যারিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে নারী পুরুষসহ নেতা কর্মীরা অংশগ্রহন করে। বিকেলে সাড়ে ৩টায় ওয়াশিংটনে বাংলাদেশে অ্যামবেসির প্রথম সেক্রেটারি নাজমুল আলমের নিকট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ইলেকটনিক পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বরাবরে ও স্মারকলিপি প্রধান করে তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শরাফত হোসেন বাবু, বেলাল মাহমুদ, জোহুরুল ইসলাম, কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, নূর মোহাম্মদ, গোলাম ফারুক শাহীন, সাইদুর রহমান সাইদ, এম এ খালেক আকন্দ, তোফায়েল লিটন চৌধুরী, লিয়াকত আলী খান, তোফায়েল আহমেদ, জীবন শফিক, বাসেত রহমান, গোলাম হোসেন, ওয়াহেদ আলী মন্ডল, রিয়াজ চৌধুরী, আবু তাহের, সাইফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম লিটন, আবু সুফিয়ান, এস এম মিন্টু, খায়রুল হাসান লিটন, দেওয়ান কাউসার, নাসির উদ্দিন শরিফ, জিলান আহমেদ, রুহুল আমিন নাসির, নাসিম আহমেদ, আব্দুল লতিফ, আব্দুল কাদের খান, জাহাঙ্গির হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, আবুল ফজল মানু, লিনা চৌধুরী, তাজ উদ্দিন, মোঃ মূসা, জসিম উদ্দিন, বাহারুজ্জামান, সাইদ চৌধূরী, আবুল হোসেন মেম্বার, তফিক মিয়া, তোফাজ্জেল হোসেন, মোঃ তুহিন, বশির আহমেদ, রফিকুল আলম, শহিদুল্লাহ কায়সার, মোঃ জিয়াউল ইসলাম শামীম, শহিদুল ইসলাম, মোঃ মিরাজ, কামরুল আলম দোলন, মাহমুদুল আউয়াল, কাজী মোহাম্মদ, আমিন ভূইয়া, মুনসুর আলী মিট, নূর আলম চৌধুরী, ডাঃ গোলাম ফরিদ, ইঞ্জিনিয়র রেজাউল খান, ইঞ্জিনিয়র সেলিম হোসেন, নূর চৌধুরী, বাহারুজ্জামান বাহার, মোশারফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, প্রম‍ুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের সর্বত্র আওয়ামী দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প‍ুনর্বহাল কর, শেখ হাসিনার নির্বাচন কমিশন মানি না, সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধকর, ডাউন ডাউন ডাউন শেখ হাসিনা ডাউন, যুদ্ধাপরাদের নামে রাজনীতিবিদদের হয়রানী বন্ধকর, টিপাইমুখ বাঁধ বন্ধ কর, শিক্ষাঙ্গনে হত্যা বন্ধ কর, বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ কর, মানবাধিকার লঙ্গন বন্ধ কর, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচার চাই, দেশদ্রোহী হাসিনার বিচার চাই, বিডিয়ার হত্যার বিচার চাই, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত বন্ধ কর, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ বন্ধ কর, সাংবাদিক সাগর -রুনি হত্যার বিচার চাই, শেয়ার বাজারের অর্থ লুন্ঠন কারীদের বিচার চাই, ফেলানী হত্যার বিচার চাই, রাজ বন্ধিদের মুক্তি চাই, চার দলীয় নেতা কর্মীদের উপর জেল জুলুম বন্ধ কর, সেনানিবাসে বিদেশি অনুচরের অবস্থান চলবে না, বিএসএফ নিপাত যাক, শেখ হাসিনা নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়।

এই সমাবেশে চারদলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়ার দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও ডাকে, নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য দেশ ও প্রবাসে জাতীয়তাবাদী সকল বাংলাদেশীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।



« (পূর্বের সংবাদ)



Shares