আরব আমিরাতে বাংলাদেশী প্রবাসীদের অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি
গত ০৭ ই অক্টোবর ২০১১ শুক্রবার সউদী আরবে একজন মিশরীকে খুন করার ও চুরি করার অপরাধে ৮ জন বাংলাদেশীকে শিরোচ্ছেদ করার খবর সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে আর সাথে সাথে আমাদের ভাবমুর্তিও বিশ্ববাসীদের কাছে হীনতর হয়ে গেছে। এর অন্যতম কারন ঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া আর সেভাবে সকলকে সর্তকভাবে এগিয়ে চলা । সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ প্রবাসীদের প্রতিটি প্রবাসী দেশের এক একজন প্রতিনিধি । তাদের আচার আচরন ও কর্মকান্ড দেশ, জাতি আর প্রবাসীদের ভাবমুর্তিকে উজ্জ্বল করে আবার ভাবমূতিকে ভুলুন্ঠিতও করে ।
বর্তমানে আরব আামিরাতেও আমাদের ভাব মূর্তি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে । এখানে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে দিন দিন । এ্খানে আমাদের প্রবাসীরা চুরি, ডাকাতি, মারামারি, হাইজ্যাক, মুক্তিপণ দাবী, কিডন্যাপ, পতিতা ব্যবসা, খূণ ও ধর্ষনের মত অপরাধগুলো হর হামেশাই করছে । এই অপরাধের সংখ্যা বা ধরন দিন দিন এমন আকার ধারন করছে যা এখানকার প্রভাবশালী দৈনিকগুলোর হেড লাইন হচ্ছে অহরহ। আর আমাদের ভাব মূর্তি হচ্ছে ভুলুন্ঠিত । এখানে সংগঠিত অপরাধগুলোর কয়েকটি যা এখানকার প্রভাবশালী ইংরেজী দৈনিক খালিজ টাইমস এ প্রকাশিত হয়েছে তা উল্লেখ করছি :
গত ৪ ই নভেম্বর ২০১১ দৈনিক খালিজ টাইমসের সংবাদ শিরোনাম ‘ প্রকাশ্যে জুয়া খেলায় পাতানোর তিন বাংলাদেশীর বিচার শুরু ‘ । ঘটনার বিবরনে জানা যায় গত আগষ্ট ২০১১ তে দুবাইতে প্রকাশ্যে জুয়া খেলার আয়োজন করে তাতে বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের প্রলুব্ধ করে প্রতারিত করার দায়ে তাদের তিন জনকে গ্রেফতার করে কোর্টে বিচারের সম্মুখীন করা হয় ।
গত ২৪ শে সেপ্টেম্বর ২০১১ দৈনিক খালিজ টাইমসের সংবাদ শিরোনাম ‘ হাউজ মেইড়কে ধর্ষণের জন্যে বাংলাদেশী শ্রমিকের ৫ বৎসরের জেলের সাজা বহাল’ সম্প্রতি দুবাই আপিল কোর্ট নিম্ম আদালতের রায়কে অপরিবর্তিত রেখে বাংলাদেশী শ্রমিকের উক্ত সাজা বহাল রেখেছে । গত বৎসরের (২০১০) ২২ শে এপ্রিল উক্ত শ্রমিক নিজ স্পনসরের ফিলিপিনো হাউজ মেইড়কে ধর্ষন করার অভিযোগে আদালত বাংলাদেশী ২৫ বৎসর বয়স্ক শ্রমিককে উক্ত সাজা দেয় । সাজা শেষে তাকে আরব আমিরাত হতে বহিষ্কারের আদেশও আদালত বহাল রাখে ।
গত ২৮ শে জুন ২০১১ খালিজ টাইমসের এর সংবাদ শিরোনাম ‘১০৩১ মোবাইল ফোন সহ ৬ জন বাংলাদেশী গ্রেফতার ।ঘটনার বিবরনে জানা যায় গত ২৭শে জুন ২০১১ আরব আমিরাতের শারজাহ পুলিশ ১০৩১ টি নতুন মোবাইল ফোন সেটসহ ৬ জন বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করে, যারা উক্ত মোবাইল ফোনগুলি দুবাইস্থ রশিদিয়া গো ডা্ওন হতে চুরি করে শারজার বিভিন্ন মার্কেটে বিত্রিু করার পরিকল্পনা করেছিল ।
গত ২রা জুন ২০১১ খালিজ টাইমসের সংবাদ শিরোনাম ‘ অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করায় দুই বাংলাদেশীকে ১০ বৎসরের জেল’ ।ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গত বৎসরের সেপটেম্বরের ২৮ তারিখ এক হোটেল কর্মচারী ও একজন কর্মহীন মহিলা ১৫ বৎসরের এক মেয়েকে দুবাইতে হাউজ মেইড়ের কাজ দেবার নাম করে বাংলাদেশ থেকে দুবাইতে এনে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার দায়ে তাদের দুজনকে ১০ বৎসরের জেলে থাকার সাজা দেওয়া হয় ।
গত ৭ ই এপ্রিল ২০১১ খালিজ টাইমসের শিরোনাম ‘নারী পাচার ও পতিতাবৃত্তির দায়ে দুই জন বাংলাদেশীর ১৫ বছর জেল’ ।আমিরাতের আজমানের এক আরবীর ঘরের ইন্দোনেশিয়ান হাউজ মেইডকে কৌশলে দুবাইতে নিয়ে এসে উপর্যুপরি ধর্ষন ও তাকে জোর করে পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করায় এবং আরও ২/৩ মহিলাকে একই কাজে বাধ্য করায় আদালত উক্ত ২জন বাংলাদেশীকে উপরোক্ত সাজা দেয় ।
গত ১লা এপ্রিল ২০১১ খালিজ টাইমসের সংবাদ শিরোনাম ১৭ বছর বয়েসী মেয়েকে পতিতাবৃত্তিতে নিযোজিত করায় ৬ জন বাংলাদেশীর বিচার শুরু । উক্ত ৬ বাংলাদেশী যোগসাজেসে ১৭ বছর বয়েসী মেয়েকে দেশ থেকে হা্উজ মেইডের কাজ দেবার নাম করে এনে প্রথমে তাকে উপর্যপরি ধর্ষণ করে পরে তাকে দুবাইযের মুরাক্কাবাদ এলাকার একটা ঘরে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার দায়ে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে ।
গত ২৯ শে মার্চ ২০১১ খালিজ টাইমসের সংবাদ শিরোনাম ‘পানির ট্যাংকে ২ বাংলাদেশীর লাশ: দুজন গ্রেফতার’। ঘটনার বিবরণে জানা যায় আমিরাতের শারজাহ পুলিশ দুজন বাংলাদেশীকে অপর দুই বাংলাদেশী শ্রমিককে হত্যার অভি্য়োগে গ্রেফতার করে ।হত্যাকারী মূল হোতা ভিসার টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়ে ভিসা না পাওয়ায় প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তাদের দুজনকে হত্যা করে পানির ট্যাংকে লাশ ফেলে দেয় ।
গত ১০ ই মার্চ ২০১১ খালিজ টাইমসের শিরোনাম ‘কিড়ন্যাপ ও জোর করে পতিতালয়ে বিক্রি করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করাতে ৬ জন বাংলাদেশীর যাবজ্জীবণ কারাদন্ড’ ।ঘটনার বিবরনে জানা যায় গত বৎসরের ১৭ ই জানুয়ারী বাংলাদেশী হাউজ মেইডকে দুবাইয়ের আল কুজ এরিয়া থেকে সি আই ডি অফিসার সেজে অপহরন করে উপরোক্ত ৬ বাংলাদেশী পতিতালয়ের মালিক অপর ২ বাংলাদেশীর নিকট ১০হাজার দেরহামের বিনিময়ে বিত্রিু করে তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করারদায়ে ৬জনকে যাবজ্জীবন ও ২জনকে ১৫ বৎসরের কারাদন্ডের সাজা দেওয়া হয় ।
গত ২১ শে ফেব্রুয়ারী ২০১১ তারিখ খালিজ টা্ইমসের শিরোনাম ‘বাংলাদেশী ড্রাইভার তার নিজ এলাকার এক শ্রমিককে হত্যার দায়ে আদালতে বিচারের সম্মুখীন’ । গত ১১ ই নভেম্বর ২০০৯ অভিযুক্ত ড্রাইভার (২৩) নিজ দেশীয় নির্মান শ্রমিককে(২৬) নিজ হাতে খুন করে দুবাই আল আইন রোড়ে আল ফাক্কাহ নামক স্খানে মরুভুমিতে পুতে রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করে দুবাই আদালতে হাজির করা হয় । উল্লেখ্য যে উক্ত ড্রাইভার নিজ এলাকার নির্মান শ্রমিককে ৯০০০ দিরহামের বিনিময়ে ভিসা দিয়ে আমিরাতে নিয়ে আসে । শ্রমিকটি তার টাকা ফেরত চাওয়াতে তাকে খুন করা হয় ।
গত ১৭ ই ফেব্রুয়ারী২০১১ খালিজ টাইমসের শিরোনাম ‘বাংলাদেশী বেকারী শ্রমিকের আত্মহত্যা’ ।সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমায় গত ১৫ ই ফেব্রুয়ারী ২০১১ চট্রগ্রামের অধিবাসী বেকারী শ্রমিক টিটু বড়ুয়া (৩০) গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে । উল্লেখ্য যে অবিবাহিত টিটু বড়ুয়া গত ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে রাস আল খাইমাস্ত এক ইন্ডিয়ান বেকারীতে হেলপার হিসেবে কাজ করে আসছে । মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে ঐ বেকারীতে নাইট শিফটে কাজ করত । মর্নিং শিফটের শ্রমিকরা সকাল ৭.৩০ টায় এসে বেকারীর পেছনে ডিজেল ট্যাংকের সাথে তাকে ঝুলে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় । পুলিশ আত্মহত্যা না হত্যা তা তদন্ত করছে । আমিরাতে ইদানিং শ্রমিকদের অসন্তোষ আর আত্মহত্যা বেড়েই চলছে । গত ডিসেম্বর ২০১০তে এধরনের তিন টি আত্মহত্যায় তিন জন শ্রমিক মরেছে । ঐ বেকারীতে সেই একমাত্র বাংলাদেশী শ্রমিক বলে তার মৃত্যু সম্পর্কে বিস্তারিত তেমন কিছু জানা যাচ্ছে না ।
গত ১০ ই ফেব্রুয়ারী ২০১১ খালিজ টাইমসের দুইটি শিরোনমের একটি ‘নারী পাচারের শিকার ১৫ বছর বয়সী কিশোরী দুবাই কোর্টে কান্নায় ভেংগে পড়ে’। গত ২৮ শে সেপ্টেম্বর ২০১০ দুবাইতে হাউজ মেইড়ের কাজ দেওয়ার নাম করে ১৫ বছরের বাংলাদেশী কিশোরীকে দুবাই এনে ধর্ষন, অত্যাচার ও জোর করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে ৩৬ বছর বয়সী বাংলাদেশী হোটেল কর্মচারী ও ২৫ বছর বয়সী বাংলাদেশী বেকার মহিলাকে দুবাই কোর্টে হাজির করা হয় ।
একই তারিখে অপর শিরোনাম বাংলাদেশী শ্রমিক স্বদেশের ১১ বছরের ছেলেকে উৎপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত ‘। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখ ৩২ বছর বয়সী বাংলাদেশেী শ্রমিক ৩০০ টাকা উপহার দিয়ে ১১ বছরের ছেলে তার সাথে খাকার কথা বলে শারজাহর একটি শপিং সেন্টার থেকে গাড়িতে করে বার দুবাইয়ের একটি হোটেলে নিয়ে এসে যৌন উৎপীড়ন করার অভিযোগে গ্রেফতার করে কো্র্টে বিচারের জন্য হাজির করা হয় ।
গত ৮ ই ফেব্রুয়ারী ২০১১ খালিজ টাইমসের সংবাদ শিরোনাম ‘পড়ানোর সময় ৮বছর বয়সী মেয়েকে উৎপীড়নে এক বাংলাদেশীর জেল ‘ । গত ১৪ ই সেপ্টেম্বর’২০১০ আরব আমিরাতরের দুবাইতে ৪৫ বৎসর বয়সী বাংলাদেশী ইন্ডিয়ান এক ৮ বছর বয়সী স্কুল ছাত্রীকে কোরান শিক্ষা দেওয়ার সময় বার উৎপীড়ন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় । গত সোমবার দুবাই আদালত তাকে ৬ মাসের জেলের সাজা দেয় এবং সাজা শেষে তাকে আমিরাত থেকে বহিষ্কার করা হয় ।
গত ৩ রা ফেব্রুয়ারী ২০১১ খালিজ টাইমসের সংবাদ শিরোনাম মহিলা পাচার ও পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করার অভিযোগে এক বাংলাদেশী পুরুষ এবং মহিলার দুবাই কোর্টে বিচার কার্যক্রম শুরু ।অভিযুক্ত বাংলাদেশী পুরুষ ও মহিলা বাংলাদেশ থেকে দুইজন মহিলাকে হাউজ মেইড়ের কাজ দেওয়ার নাম করে দুবাইতে এনে জোর করে পতিতাবৃত্তিতে লাগানের অভিযোগে গ্রেফতার করে কোর্টে হাজির করা হয় ।
গত ২৬ শে জানুয়ারী ২০১১ খালিজ টাইমসের সংবাদ শিরোনাম ‘মহিলাকে পতিতালয়ে দেওয়ার অভিযোগে ৫ জনের জেল’ । মহিলার আপন ভাই দুবাইতে হাইজ মেইড়ের কাজ দেওয়ার নাম করে গত বছর এপ্রিল মাসে দুবাইতে এনে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অপরাধে মহিলার আপন ভাইসহ চারজনকে ৫ বছরের জেল দেওয়া হয় ।
২০১০ এর উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী
গত ২৯শে জুলাই ২০১০ খালিজ টাইমসের সংবাদ শিরোনাম ‘প্রতিশোধ নিতে এক বাংলাদেশীকে কিডন্যাপ করে বন্দী করে রাখায় দুই বাংলাদেশী অভিযু্ক্ত’ । গত ১৩ই ডিসেম্বর ২০০৯ এক বাংলাদেশীকে দুবাইয়ের নায়েফ এরিয়া হতে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে অপহরণ করে শারজাহতে এক ভিল্লায় তিন দিন বন্দী করে রাখার দায়ে দু্ই বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করে কোর্টে হাজির করা হয় ।
গত ১৫ ই জুলাই ২০১০ খালিজ টাইমসের শিরোনাম এক বাংলাদেশীকে কিডন্যাপ ও ৮০০০ দিরহাম মুক্তিপন দাবীতে তিন বাংলাদেশীকে ১ বছরের জেল । গত নভেম্বর ২০০৯ সালে দুবাই সাথওয়া হতে এক বাংলাদেশীকে কিডন্যাপ করে ফ্ল্যাটে আটকে রেখে ৮ হাজার দিরহাম মুক্তিপন দাবী ও তাকে মারধর করাতে তিন জন কে এই শাস্তি দেওয়া হয় ।
গত ১৪ ই জুলাই খালিজ টা্ইমসের খবরের শিরোনাম ‘চাইনিজ পতিতাকে হত্যা করায় বাংলাদেশী ড্রাইভারকে ১৫ বছরের জেল ‘। গত ১৬ই আগস্ট’২০০৯ দুবাই ফিরিজ মুরার এলাকায় চাইনিজ পতিতাকে হত্যা করায় আপিল কোর্ট তার ১৫ বছরের জেলকে বহাল রাখে ।
গত ১২ ই জুলাই ২০১০ খালিজ টাইমসের খবর শিরোনাম ‘এক বাংলাদেশীকে কিডন্যাপ ও মারধরের জন্য তিন বাংলাদেশীর কোর্টে বিচার কার্যক্রম । গত ২০ শে মে’২০১০ দুবাইয়ের নায়েফ এরিয়া হতে তিন বাংলাদেশী এক বাংলাদেশীকে জোর করে গাড়ীতে তুলে কিডন্যাপ করে এবং তাকে আটকে রেখে বেদম প্রহার করার দায়ে তাদের গ্রেপতার করে কোর্টে হাজির করা হয় ।
গত ২৯ শে জুন’২০১০ একই পত্রিকার খবর শিরোনাম ‘কিডন্যাপ, আক্রমন ও ডাকাতির অভিযোগ ৩ বাংলাদেশী ও ১ আমিরাতী গ্রেফতার’। আমিরাতের আজমানে সিআইডি অফিসার সেঝে একজন বাংলাদেশীকে অপহরণ, মারধর ও তার টাকা পয়সা ছিনতাইয়ের জন্য তাদের গ্রেফতার করা হয় ।
গত ২৮ শে জুন ২০১০ খালিজ টাইমসের খবর শিরোনাম ‘ মানুষ পাচারে ৪ বাংলাদেশীকে ১০ বছরের জেল’ । গত জানুয়ারী ২০১০ দুবাই ফিরিজ মুরার এরিয়ায় ৪ জন বাংলাদেশীর একটি চক্র একজন ইন্দোনেশিয়ান হাউজ মেইডকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও পতিতালয়ে ৫ হাজারের দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করাতে তাদের প্রত্যেকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয় ।
২১ শে জুন ২০১০ খালিজ টাইমসের আলোচিত খবর শিরোনাম ‘ ৮ জন সি আ ই ডি অফিসার সেজে ১ জন বাংলাদেশী হাউজ মেইড কে অপহরন’ । গত ১৭ ই জানুয়ারী ২০১০ দুবাইতে ৭ জন বাংলাদেশী ও ১ জন পাকিস্তানী সি আই ডি অফিসার সেজে ১জন বাংলাদেশী মহিলাকে অপহরন করে এবং ১০ হাজার দিরহামের বিনিময়ে পতিতালয়ে বিক্রি করার অপরাধে তাদের কোর্টে হাজির করা হয় ।
উল্লেখিত অপরাধ ছাড়াও এখানে হরহামেশায় আরও নানা ধরনের ছোট খাট অপরাধগুলো যেমন অযথা জটলা করে আবাসিক বিল্ডিং এর প্রবেশ পথে দাড়িয়ে থাকা, যেখানে ষেখানে পানের পিক ও সিগারেটের উচ্ছিষ্ঠ অংশ ফেলা, হোটেল বা ডিসকোতে গিয়ে শিল্পী বা নর্তকীদের মালা দিতে নিজেদের মধ্যে অযথা হাতাহাতি ও মারামারি, হোটেলে পতিতা বা শিল্পী/নতর্কী নিয়ে নিজেদের মধ্যে কাড়াকাড়ি, আবাসিক আইন না মানা, ট্রাফিক আইনকে অমান্য করা, যা আমাদের প্রবাসীরা এখানে নিয়মিত করছে । এভাবে এখানকার পত্রিকাতে তথা আর্ন্তজাতিক মিড়িয়াতে এ সমস্ত অপরাধের জন্য আমাদের প্রবাসীরা শিরোনাম হতে থাকলে আমাদের ভাবমূর্তির সাথে সাথে আমাদের অর্থমূর্তি(অর্থনীতি)ও ক্ষুন্ন হবে । আর এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই আমিরাত সরকার সোদি আরব, কুয়েত, কাতারের মত আমাদের নতুন ভিসা বন্ধ করে দেবে । এ ব্যাপারে সরকার, দূতাবাস, প্রবাসী মিশন, প্রবাসী ও দেশ বাসীকে এগিয়ে আসতে হবে । নতুবা বিপুল সম্ভাবনাময় আমিরাতের শ্রম বাজার ও আমাদের হারাতে হবে।