নবীনগরে মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৪ টি গ্রাম বিলুপ্তির পথে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার সীমানার মধ্যবর্তী মেঘনা নদীতে এক শ্রেণির বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে ড্রেজারের সাহায্যে বালু উত্তোলন করায় নবীনগর উপজেলার চরলাপাং, গাছতলা, তিলকিয়া, দুর্গারামপুর গ্রামগুলি বর্তমানে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলুপ্তির পথে। বিশেষ করে চরলাপাং গ্রামে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। ওই গ্রামের বাজার, ডাকঘর ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেকোন সময় নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে।
চর লাপাং গ্রামের পার্শ্ববর্তী মেঘনা নদীতে দুই উপজেলার সীমানা চিহ্নিত না হওয়ায় অমিমাংসিত অংশের মালিকানা নিয়ে দুই উপজেলাবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছে। ওই বিতর্কিত অংশে বাঁধা দেয়া সত্বেও নরসিংদীর কয়েকজন বালু ব্যবসায়ী প্রায়ই ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলছে। এর ফলে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়ছে চরলাপাং গ্রামটি।
এ গ্রামটিকে নদীভাঙন থেকে রক্ষা করতে নবীনগর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ওয়ালিউল হাসান গত ১২ সেপ্টেম্বর ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ড্রেজার সহ দুই ব্যক্তিকে আটক করে। মেঘনার ওই অংশের বিরোধ মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত কোন পক্ষের লোকজনই ড্রেজার দিয়ে সেখান থেকে বালু উত্তোলন করতে পারবেনা- এই মর্মে নবীনগর ও রায়পুরা এলাকার বর্তমান দুই সংসদ সদস্যের সমঝোতার ভিত্তিতে আটককৃত ড্রেজার ও ব্যক্তিদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকেই পুনরায় চরলাপাং গ্রামের নিকটবর্তী নদী থেকে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। এ নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। যেকোন সময় দুই উপজেলার গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হওয়ার আশংকা রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৫ নবীনগর আসনের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল ও নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সফিকুল ইসলাম জরুরিভিত্তিতে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।