পিআইবির মহাপরিচালক হলেন শাহ আলমগীর
প্রতিবেদক : এশিয়ান টিভির সিইও ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শাহ আলমগীরকে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক করা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাসের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। শাহ আলমগীর বলেন, “আমার নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেলে। শুক্রবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আমাকে নিয়োগপত্রের চিঠি পৌঁছে দেন।” রোববার তার নতুন কর্মস্থলে যোগ দেবেন বলে জানান তিনি। নতুন কর্মস্থল সম্পর্কে অনুভূতি জানিয়ে শাহ আলমগীর বলেন, “পিআইবি সাংবাদিকদেরই প্রতিষ্ঠান। কাজেই আমি আমার কাজের জায়গাতেই আছি। চেষ্টা করব ভালো করার জন্য। এখানে থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সাংবাদিকদের জন্য কাজ করার সুযোগ রয়েছে।” শাহ আলমগীরের সাংবাদিকতা শুরু অবজার্ভার গ্রুপের ‘কিশোর বাংলা’ পত্রিকা দিয়ে। এরপর কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী ও আজাদে। প্রথম আলো প্রকাশের সময় তিনি যুগ্ম বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। এরপর চলে যান টেলিভিশন মিডিয়ায়। তিনি ছিলেন চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক। কাজ করেছেন একুশে টেলিভিশনে, হেড অব নিউজ হিসেবে। পরিচালক (বার্তা) ছিলেন যমুনা টেলিভিশনে। মাছরাঙায় ছিলেন বার্তাপ্রধান। সবশেষ এশিয়ান টিভিতে, ছিলেন প্রধান নির্বাহী ও প্রধান সম্পাদক। সাংবাদিক ইউনিয়নের সঙ্গে শাহ আলমগীর সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে আছেন। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দু-দুবার বিপুল ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন। সাংবাদিক মহলে তিনি ভদ্র, নম্র ও বিনয়ী মানুষ হিসেবে পরিচিত। শাহ আলমগীরের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগরে। তবে বাবার চাকরির সুবাদে পড়াশোনার একটি অংশ কাটে বৃহত্তর ময়মনসিংহে। গৌরীপুর কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে চলে আসেন ঢাকায়। ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা করেছেন মস্কো ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম থেকে। শাহ আলমগীরের স্ত্রী ফৌজিয়া বেগম একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে বড় পদে কাজ করেন। ছেলে আশিকুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ছেন। আর ‘এ’ লেভেলের ফার্স্ট পার্ট পরীক্ষা দিয়েছেন মেয়ে অর্চি অনন্যা। |