Main Menu

পরিবেশ ও জলাধার আইন লংঘন করে পুকুর ভরাটের অভিযোগ !

+100%-

প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সদরের পশ্চিম পাড়ায় পরিবেশ ও জলাধার সংরক্ষণ আইন লংঘন করে একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ পুকুর ভরাটের প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসি স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে বৃহস্পতিবার (২০.০৬.১৩) আবেদন করেছেন।
সরজমিনে ঘটনাস্থল ঘুরে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ও প্রাপ্ত ওই লিখিত আবেদন থেকে জানা যায়, উপজেলা সদরের (প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা) পশ্চিম পাড়ায় শতাধিক বছরের প্রাচীন ওই পুকুরটি এলাকায় ‘সাধন দেবের পুকুর’ হিসেবে সমধিক পরিচিত। গত কয়েকদিন ধরে মেশিনের সাহায্যে পাইপ লাগিয়ে বালি ফেলে পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে। এতে পুকুরের আশেপাশের লোকজন ওই পুকুর ভরাট বন্ধের আবেদন জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেন।
আবেদনে স্বাক্ষর করা আবদুল মালেক ও মুজিবর রহমান বলেন,‘পাঁচ পাঁচটি মনোরম পাকা ঘাটলা সমৃদ্ধ প্রাচীন এই পুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে, পানির অভাবে পশ্চিম পাড়ার শতশত বাসিন্দাসহ আশপাশের মানুষের গোসল করা ও নিত্যদিনের কাজকর্মসহ নানাবিধ অসুবিধা হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন,‘ইদানিং পরিবেশ ও জলাধার সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে প্রশাসনের নাকের ডগায় সদরের বেশ কয়েকটি পুকুর একের পর এক ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে প্রশাসন নির্বিকার থাকায়, পুকুর মালিকেরা একের পর এক পুকুর ভরাট করতে সাহস পাচ্ছে।’
পুকুরের মালিক মৃত সাধন দেবের জামাতা, বর্তমানে পুকরটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা নবীনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কান্তি ভট্টাচার্য বলেন,‘সম্প্রতি সদরেতো একাধিক পুকুর ভরাট হয়েছে। কই, এ নিয়েতো কেউ একটি কথাও বলেনি। যেহেতু আমরা হিন্দু, তাই প্রশাসনসহ স্বার্থান্বেষী অনেকেরই এখন অসুবিধা হচ্ছে বলে আমি মনে করছি। তবে এ পুকুর ভরাট নিয়ে আশেপাশের গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিদের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নেওয়া আছে। যদিও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি।’
জেলা প্রশাসক নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন,‘বিষয়টি নিয়ে নবীনগরের ইউএনও’র সঙ্গে আমি কথা বলব।’
নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক নাজিম উদ্দীন শুক্রবার বলেন,‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে নবীনগর পৌরসভার সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’






Shares