Main Menu

কসবায় শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছাত্র গুরুতর আহত-সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষকের শাস্তি দাবী

+100%-

কসবা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় শিক্ষকের বেত্রাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র মো. বশির মিয়া (১৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত বশির উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বিদ্যানগর (অষ্টজঙ্গল) গ্রামের লিল মিয়ার পুত্র এবং স্থানীয় বিদ্যানগর শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। এই ঘটনায় আহত ছাত্রটির পিতা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করাসহ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. তাজুল ইসলামের বিচার দাবী করেছেন।
শিক্ষকের বেত্রাঘাতে আহত ছাত্র বশিরের পিতা লিল মিয়া মাতা আলেয়া বেগম গত শুক্রবার কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, তাদের পঞ্চম সন্তান মো. বশির মিয়া স্থানীয় বিদ্যানগর শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। গত ৬ জুন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. তাজুল ইসলাম ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র বশিরকে বেধরকভাবে পিটিয়ে আহত করেন। খবর পেয়ে আহত বশিরকে দ্রুত কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান। বশির সুস্থ্য হবার পর ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে গ্রামবাসী লিল মিয়াকে মামলা করা থেকে বিরত রাখেন। টানা আট দিন চিকিৎসাশেষে বশির কিছুটা সুস্থ্য হবার পর গত ১৪ জুন আহত বশিরকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বিদ্যালয়ে চলমান পরীক্ষায় আহত বশির অংশগ্রহণ করতে না পারাসহ ঘটনার কোনো সুষ্ঠ বিচার না পেয়ে বশিরের পিতা লিল মিয়া বাদী হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মো.তাজুল ইসলামকে আসামী করে কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে কসবা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.মিলন ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তকালে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পান। মামলার বাদী লিল মিয়া ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগম আরো অভিযোগ করেন এই শিক্ষক তাজুল ইসলাম ইতিপূর্বেও তাদের তাদের চতুর্থ সন্তান অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আবু বক্করকে মারধর করেছিলো। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো তাদের আরেক সস্তান ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র বশিরকে বেধর মরপিট করে গুরুতর আহত করেছেন। তারা সাংবাদিক সম্মেলনে শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অত্যাচারী শিক্ষক মো.তাজুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
এদিকে এই বিষয়ে জানতে চাইলে শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আল মামুন ভুইয়া জানান, ‘এই ঘটনার জন্য শিক্ষক তাজুল ইসলামকে শোকজ করা হয়েছে। তাছাড়া বিষয়টি নিরসনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।






Shares