নবীনগরে যুবকের মৃত্যু :: জনমনে প্রশ্ন হত্যা নাকি আত্মহত্যা ?



ডেস্ক রিপোর্ট :: নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের লাপাং গ্রামে মিঠুন মিয়া (২৪) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ পুলিশ খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৩০/৮) দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। এ মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় চলছে জোরালো আলোচনা । মিঠুন ওই গ্রামের মৃত হানিফ মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, আজ সকালে মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই ইউনিয়নের নবিপুর বাজারের জনৈক ব্যবসায়ী আবু কাউসারের নেতৃত্বে একদল দুর্বত্ত তাকে ডেকে এনে মারধর করে। শেষে তাকে হত্যা করে তার লাশটি নিহতের বাড়ির পার্শ্বে ফেলে দেয়।
তবে অন্য এক সুত্র জানায়, নবিপুর বাজারের ব্যবসায়ী আবু কাউসার মিঠুনের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে প্রথমে তর্কাতর্কি করে, পরে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই কারনে অভিমানে সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন।
নবীনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ আহম্মেদ পিপিএম জানান,গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য আগামিকাল বুধবার সকালে লাশ জেলা মর্গে পাঠানো হবে।
উল্ল্যেক্ষ্য, নিহত ব্যক্তি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজ মিয়ার চাচাতো ভাই হন।