নবীনগরের বুড়ি নদীর কোনাঘাট এলাকাটি ইট বালু ব্যবসায়ীদের দখলের পর হারিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু দেখার কেউ নেই..
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের কুমার পল্লীর পাশ দিয়ে বয়ে চলা বুড়ি নদীর মাঝিদের নৌকা রাখার স্থান হিসেবে পরিচিত কোনাঘাট এলাকাটি ইট বালুর ব্যবসায়ীদের লালসার কবলে পরে হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই।
স্থানীয়রা জানান, নবীনগর পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের ভোলাচং এর কোনাঘাট এলাকাটির নামকরনই করা হয়েছিলো নৌকার মাঝিদের থামার কারনে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নৌকাযোগে মাটির তৈরি প্রতিমা বানাতে, মাটির হারিপাতিল কিনতে এখানে আসতেন মানুষ-জন। শতশত মাঝি নৌকা নিয়ে এই কোনাঘাটে পাড়ি জমাতেন। এই মাঝিদের জন্যই তিতাস ও বুড়ি নদীর পাড় ঘেসা নবীনগর বাজারের এতো নামডাক দেশ জুড়ে। এই কোনাঘাট থেকে এক সময় যত দূর চোখ যেত নদীর সীমানা ততদূর বিস্তৃর্ণ ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে বিস্তৃন এই বুড়ি নদীটির কোনাঘাট এলাকাটি দখলের পর দখল হয়ে আজ মৃত প্রায়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবীনগর পৌরসভার পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদী গুলোর মধ্যে তিতাস ও বুড়ি নদী অন্যতম। সেই তিতাস ও বুড়ি নদীকে কেন্দ্র করেই কোনাঘাট এলাকায় মৃৎ শিল্পিরা শতাধিক বছর আগে তাদের ব্যবসা শুরু করেন। এর পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক স্থান হিসেবে গড়ে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার পৌর সদরের এই জায়গাটি।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে মাঝিদের নৌকা আসতো। উপজেলার গ্রামগুলির নৌকাতো সারা বছরই এখানে থাকতো।এখন স্থানীয় প্রভাবশালী আবুল কাশেম, মলিন্ড দেবনাথ, আবুল হোসেন সহ আরো অনেকেই নদীর পার দখল করে ও নদী ভরাট করে ইট-বালির ব্যবসা শুরু করেছেন। এক কথায় এখন এই বুড়ি নদীটি দখলের মহোৎসব চলছে এইখানে।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হাসান বলেন, কেউ যদি নদীর জায়গা দখল করে ইট বালুর ব্যবসা করে এটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আমরা সরজমিনে গিয়ে নদী দখলের বিষয়টি দেখবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।