Main Menu

নবীনগরে স্কুলের দীঘির মাঝখানে দেওয়া বাঁশের বেড়া উচ্ছেদ

+100%-
মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি::ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজস্ব মালিকানাধীন শেফালী দীঘি জোরপূর্বক বালু দিয়ে ভড়াট করে মার্কেট নির্মাণ করতে স্থানীয় একটি মহল দীঘির মাঝে বাঁশের বেড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
 এ নিয়ে স্কুল কতৃপক্ষের অভিযোগ ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ওই বেড়া উচ্ছেদ করেন নবীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোশারফ হোসাইন।
জানা যায়, ১৯৭৬ সালে গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৭ সালে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা খোরশেদ আলম ঠিকাদার তার মেয়ে শেফালীর নামে দীঘিটি খনন করেন। এরপর থেকেই বিদ্যালয় ভোগ দখল এবং নিয়মিত খাজনা পরিশোধসহ ম্যানেজিং কমিটি প্রতি বছর মৎস্য চাষের জন্য মৎস্যচাষীদের কাছে পত্তন দিয়ে আসছে।
দীঘির পাশে থাকা মসজিদ, ঈদগাহ, কবরস্থান, মাজারে আসা মুসল্লী ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাসহ গোপালপুর বাজারের লোকজন ও আশপাশের বাসিন্দারা অযু,গোসল, ধোয়া মুছাসহ সকল কাজকর্ম করেন এই দীঘিতে।
দীঘিতে  নিজেদের অংশ রয়েছে দাবী করে গোপালপুর গ্রামের আবদুস সালাম ও কাসেম মিয়া জোরপূর্বক বালু দিয়ে ভড়াট করে মার্কেট নির্মাণ করার লক্ষে দীঘির মাঝে দিয়েছেন বাঁশের বেড়া। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের লিখিত অভিযোগ ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নবীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোশারফ হোসাইন গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে, দীঘির মাঝখানে থাকা বাঁশের বেড়া উচ্ছেদ করেন।
এ সময় ঘটনাস্থলে  নবীনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, নবীনগর থানার এসআই খলিলুর রহমান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আহম্মদসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোশারফ হোসাইন বলেন, রেকর্ড পত্রে ওই জায়গা বিদ্যালয়ের ও মাদ্রাসার নামে, কিছু অংশ মালিকানা আছে,ওই দীঘিতে সরকারী খাস খতিয়ানভূক্ত কিছু সরকারী জায়গাও রয়েছে। পত্রিকার সংবাদ ও অভিযোগের ভিত্তিতে এখানে এসেছি। জলাশয় আইনে কেউ শ্রেণী পরিবর্তন না করে পুকুর ভরাট করতে পারবেনা। দীঘিতে অবৈধভাবে দেওয়া বাঁশের বেড়া উচ্ছেদ করা হয়েছে। কেউ আইন অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।





Shares