নবীনগরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালিত
আমিনুল ইসলাম//১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয়ের দিনটিতে আনন্দের পাশাপাশি বেদনাও বাজছে বাঙালির বুকে। বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় জাতি স্মরণ করবে জানা-অজানা সেই সব শহীদকে, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এসেছে এই স্বাধীনতা।
যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতি পালন করছে মহান বিজয় দিবস।এ উপলক্ষে বাড়ি, গাড়ি,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লাগানো হয়েছে লাল-সবুজের পতাকা। মানুষের মাথায় পতাকার রঙের ফিতা। গায়ে পতাকার রঙের পোশাক।
সারাদেশের ন্যায় নবীনগর উপজেলায় ও প্রতি বছরের মত জাতীয় এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক,মুক্তিযোদ্ধা,সরকারি-বেসরকারি উদ্যেগে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়।নবীনগরের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল নবীনগর সরকারি কলেজ মাঠে স্থাপিত শহীদ মিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্যে দিয়ে বিজয় দিবস পালিত হয়।
গনকবরে পুষ্পস্তবক অর্পন,কুচকাওয়াজ,বিজয় র্যালী,মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা,রচনা প্রতিযোগী,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।
অন্য দিকে তিতাস নদীর মোহনা পাগলা নদীর তীরে খারঘর গনকবরে ৪৩ জন শহীদদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বড়াইল,সাদেকপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগসহ ও সর্বস্তরের লোকজন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বক্তব্য রাখেন,গনকবর সংরক্ষন ও বাস্তবায়ন কমিটির সাধারন সম্পাদ মহিউদ্দীন আহমেদ জীবন,উপজেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নান্নু(মাস্টার),সাদেকপুর ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ,সদর উপজেলার যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা,সাদেকপুর ইউপি ছাএলীগের সভাপতি রাসেল আহমেদ ও সাধারন সম্পাদক সোহাগ রানা ও যুবলীগ নেতা মোঃ মোজাম্মেল হক বিভিন্ন শ্রেনীপেশা ও স্কুল কলেজের ছাএ-ছাএীরা বিজয় দিবসে অংশগ্রহন করেন।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিশেষ মোনাজাত করেন বড়াইল ইসলামিয়া সিরাজুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি উসমান গনি।