নবীনগরের ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছার বিরোদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাতের শুনানি হতে যাচ্ছে



মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছার বিরোদ্ধে ছয় মাস আগে গ্রামবাসীর করা ৪০ দিনের কর্মসূচির লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে আগামী ২১ জানুয়ারি অবশেষে শুনানি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
স্থানীয় সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমীনের স্বাক্ষরযুক্ত এক নোটিশে শুনানির কথা জানানো হয়েছে।
ওই নোটিশে শুনানির দিন বাদী ও বিবাদীকে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্তসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উপ-পরিচালকের অফিস কক্ষে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে হতদরিদ্র তহবিল কর্মসূচির আওতায় গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে সরকারের ৪০ দিনের কর্মসূচিতে মাটি কাটার কাজে অংশ নেওয়া ৯৪ জন শ্রমিকের অনেকেই তাদের প্রাপ্ত জনপ্রতি ৮ হাজার টাকা পাননি বলে অভিযোগ উঠে। শ্রমিকদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান আবু মুছা দুর্নীতির মাধ্যমে শ্রমিকদের নিজের একাধিক আত্মীয়-স্বজনের নাম ব্যবহার করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন।
পরে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কয়েকজন শ্রমিক গত বছরের ৩ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলার কাছে একটি আবেদন করেন।
ওই ঘটনার ছয় মাস পর এ বিষয়ে আগামী ২১ জানুয়ারি বিষয়টির ওপর শুনানি হবে বলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালকের স্বাক্ষরযুক্ত এক নোটিশে বাদী ও বিবাদীকে জানানো হয়।
বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আবু মুছা নোটিশ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘অভিযোগটি একেবারেই ভিত্তিহীন। ইতিমধ্যে তদন্তেও এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। মূলত: সামনে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় আমার ক্লিন ইমেজকে নষ্ট করতেই একটি চিহ্নিত চক্র এসব জঘন্য অপকর্ম করে যাচ্ছে। ইনসাল্লা শুনানিতে যাবতীয় তথ্য প্রমাণাদি নিয়েই যাব এবং অভিযোগটিকেও মিথ্যা প্রমাণিত করব।
নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক বলেন, ‘নোটিশের কপি আমি দেখেছি। তবে শুনানির বিষয়টি সরাসরি ডিসি স্যারের কার্যালয় দেখছেন।
উল্লেখ্য যে, গত বছরের ৪ জুন দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ‘চেয়ারম্যান মুছার বিরুদ্ধে হতদরিদ্রদের ৪০ দিনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে, এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।