Main Menu

এইচএসসি’তে প্রত্যাশিত ফলাফল না পাওয়াতে মন খারাপ? জেনে নিন ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন এর পদ্ধতি…

+100%-

গত ১৩/০৮/২০১৪ তারিখে প্রকাশিত হল ২০১৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল।  এ বছর গড় পাসের হার ৭৮.৩৩ শতাংশ। সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০ হাজার ৬০২ জন। যারা কৃতিত্বের সাথে পাশ করল সবাইকে শুভেচ্ছা। কিন্তু যারা এবার ভালো করতে পারেনি তাদের জন্যেই আমার আজকের এই টিউন। প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন কি?
ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন  কি? :SSC Rescrutiny 320×205 এইচএসসিতে প্রত্যাশিত ফলাফল না পাওয়াতে মন খারাপ? জেনে নিন ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন এর পদ্ধতি…

এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষা পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর দিন থেকে বাংলাদেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডগুলো আশানুরুপ না হওয়াতে শিক্ষার্থীদের মনে যদি ফলাফল অনিশ্চয়তা থাকে তাদের অনিশ্চয়তা দূর করতে খাতা পুনঃমূল্যায়ন এর সুযোগ দিয়ে থাকে যা “ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন”, “পুনঃনিরীক্ষণ”, “পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জ”, “Rescrutiny” ইত্যাদি নামে পরিচিত। অনেকের ধারণা  বোর্ড কতৃপক্ষ খাতা পুনঃমূল্যায়ন করে। কিন্তু আসলে এই প্রক্রিয়ায় বোর্ড থেকে যা করা হয় তা হল , নম্বর গণনা কিংবা কোথাও নম্বর প্রদানে ভুল ভ্রান্তি ভ্রান্তি হয়েছে কিনা সেসব বিষয় মিলিয়ে দেখা হয়।
কিভাবে ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন করবেন? :

ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন করতে শিক্ষা বোর্ডে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। চাইলে ঘরে বসে মোবাইল থেকেই ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন এর জন্যে আবেদন করতে পারবেন। তার জন্যে যা যা লাগবেঃ

টেলিটক সংযোগ সহ একটি মোবাইল ফোন। ( শুধুমাত্র টেলিটক আপারেটর থেকেই ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন সম্ভব কিন্তু যাদের টেলিটক সিম নেই তাদের চিন্তার কিছু নেই, তারাও চাইলে অন্য কারো সিম ব্যাবহার করে অথবা ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন এর আবেদন করে এ ধরণের কোন দোকান থেকেও আবেদন করতে পারবেন)

মোবাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যানান্স ( প্রতিটি বিষয়ের আবেদনের জন্যে মোবাইল থেকে আবেদন ফি বাবদ ১৫০ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে। যে সকল বিষয়ের ২ টি পত্র রয়েছে যেমনঃ বাংলা ও ইংরেজি সে সকল বিষয়ের ক্ষেত্রে একটি বিষয় কোডের বিপরিতে ২ টি পত্রের আবেদন বলে গণ্য হবে তাই এ ক্ষেত্রে খরচ পরবে ৩০০ টাকা )

আপনার সাথে যোগাযোগ এর একটি ব্যাক্তিগত নম্বর (বাংলাদেশের যে কোন অপারেটর এর নম্বর দিতে পারবেন)

আসুন আবার জেনে নেওয়া যাক আবেদনের পদ্ধতি………
আবেদন করতে এসএমএস করবেন যেভাবেঃ

মোবাইল এর ম্যাসেজ অপশন এ গিয়ে লিখবেন-

RSCআপনার বোর্ড এর নামের প্রথম ৩ অক্ষররোল নম্বরবিষয় কোড

উদাহরণঃ যশোর বোর্ড এর কোন শিক্ষার্থীর রোল নম্বর যদি হয় 259663 তার বাংলার জন্যে আবেদন করতে লিখতে হবে এভাবেঃ RSCJES259663101

এর পর ম্যাসেজটি 16222 এই নম্বরে পাঠাতে হবে।

উল্লেখ্য আপনি একটি এসএমএস এ একসাথে একাধিক বিষয়ের জন্যে আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কমা (,) দিয়ে বিষয়গুলোর কোড আলাদাভাবে লিখতে হবে। যেমন বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের আবেদন করতে হবে এভাবেঃ

RSCJES259663101,107

এক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ের এবং প্রতিটি পত্রের জন্যে ১৫০ টাকা করে চার্জ করা হবে এবং যে সকল বিষয়ের ২ টি পত্র রয়েছে যেমনঃ বাংলা ও ইংরেজি সে সকল বিষয়ের ক্ষেত্রে একটি বিষয় কোডের বিপরিতে ২ টি পত্রের আবেদন বলে গণ্য হবে তাই এ ক্ষেত্রে খরচ পরবে ৩০০ টাকা

ফিরতি এসএমএস এ কত টাকা কেতে নেওয়া হবে জানিয়ে আপনাকে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে। আপনি রাজি থাকলে এর পর মাসেজ অপশন এ গিয়ে লিখবেনঃ

RSCYESপিন নম্বরআপনার সাথে যোগাযোগের একটি নম্বর (যে কোন অপারেটর এর)

উদাহরনঃ ধরুন ফিরতি এসএমএস এ প্রদত্ত আপনার পিন নম্বর হল 12345 এবং আপনার মোবাইল নম্বর 01913XXXXXX সেক্ষেত্রে আবেদন করবেন এভাবেঃ

RSCYES1234501913XXXXXX

ব্যাস উপরের প্রক্রিয়াগুলো যদি আপনি সঠিক ভাবে অনুসরণ করে থাকেন তাহলে সফলভাবে আপনার ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
আবেদনের সময়সীমাঃ

এই প্রক্রিয়া সাধারণত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরদিন থেকে এক সপ্তাহব্যাপী চলে। ২০১৪ সালের ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন প্রক্রিয়া ১৪ থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত পর্যন্ত চলবে।
আসলেই কি কোন কাজ হয় ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন করে?:

এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব এটা আপেক্ষিক ব্যাপার। আমার অভিজ্ঞতা মতে আমার খুব কাছের ২ জন বন্ধু এইচ এস সি তে ৪:৯০ পেয়েছিল। পরিবর্তিতে ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন করে ওরা GPA 5 পেয়েছিল। এছাড়া প্রতিবছর ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন এ অনেককেই দেখি প্রথমে ফেইল করে ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন করে পাশ করে গেছে। তাই আমার সাজেশন হল যেহেতু এইচ এস সি আমাদের জীবনের অনেক বড় একটা পরীক্ষা তাই মনে যদি কোন কনফিউশন থাকে আপনার ফলাফলের ব্যাপারে কিংবা আপনি যদি কনফিডেন্ট থাকেন আপনার ফলাফল পরিবর্তনের ব্যাপারে তাহলে অবশ্যই ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন করে দেখা উচিত।

সবার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল ও সফলতা কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি।






Shares