সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিদায়
আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা গেছেন।
রোববার ভোর রাত ৪টা ১০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার আল ইমরান জানান। রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালেচিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে তাঁকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয় বলে জানান কামরুল হক। শুক্রবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে গত মে মাসে শ্বাসকষ্ট নিয়ে এই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মাঝখানে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালেও চিকিৎসা নেন তিনি।
সত্তরের প্রাদেশিক পরিষদে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন অন্যতম কনিষ্ঠ সদস্য; স্বাধীন দেশের প্রথম সংসদসহ চার দশকের প্রায় সব সংসদেই নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ষাটের দশকের উত্তাল রাজনীতি থেকে উঠে আসা বামপন্থী এই নেতা বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৪৬ সালে সুনামগঞ্জের আনোয়ারাপুরে। প্রথম জীবনেই বামপন্থী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া সুরঞ্জিত দ্বিতীয়, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম এবং দশম জাতীয় সংসদসহ মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর তিনি রেলমন্ত্রী হন।
সুরঞ্জিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি করার পর আইন পেশায় যুক্ত হন তিনি। আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলেরও সদস্য।