জেলা পুলিশের উদ্যোগে বার্ষিক অভিভাবক সমাবেশ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধণা
গত ১৬ এপ্রিল ২০১৫খ্রিঃ বিকাল ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে বার্ষিক অভিভাবক সমাবেশ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধণা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান পিপিএম-বার, পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র সহধর্মীনি ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোছাঃ নাসিমা সুলতানা, জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে জনাব মোঃ শাহ আলম বকাউল, সিনিয়র এএসপি, সদর সার্কেল, জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র এএসপি, সদর দপ্তর, জনাব মোঃ শাহরিয়ার আল মামুন, সিনিয়র এএসপি, নবীনগর সার্কেল, জনাব মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান, সিনিয়র এএসপি, ডিএসবিসহ পুলিশ লাইনস্ স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন জনাব মোহাম্মদ আলী, প্রধান শিক্ষক, পুলিশ লাইন্স জুনিয়র স্কুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। সমাবেশের শুরুতে সভাপতি ও পুলিশ লাইন্স স্কুলের প্রধান শিক্ষক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন যে, ১৯৯৬ সালের অত্র স্কুলটি স্থাপিত হয় এবং এরপর থেকেই স্কুলটি ক্রমাগত সাফল্য অর্জন করে আসছে। সমাবেশে অভিভাবকদের মধ্য থেকে মিসেস মুসতারিন এবং জনাব মোঃ শাহীন বক্তব্য প্রকাশ করেন। অতঃপর স্কুলের ৩২ জন কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে পুলিশ সুপার পুরস্কার প্রদান করেন। এছাড়া বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ৯০জন শিক্ষার্থীকেও পুরস্কৃত করেন।
পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমাবেশে উপস্থিত অভিভাবকদের বক্তব্য শ্রবণ শেষে তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন যে, একটি স্কুলের মূল সম্পদ হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রী। আর তাই তাদের যথাযথ প্রতিপালন করতে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার মান বৃদ্ধিসহ স্কুলের সাফল্য বয়ে আনা সম্ভব। তিনি আরো বলেন যে, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক সাফল্য নির্ভর করে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকের উপর। পুলিশ লাইন্স স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া যথাযথ মনিটরিং করাসহ স্কুলটিকে অত্র জেলার সাফল্য অর্জনকারী সেরা ৫টি স্কুলের মধ্যে একটি স্কুল হিসেবে গড়ে তুলতে পুলিশ সুপার স্কুলের সকল শিক্ষক ও অভিভাবকদের অনুরোধ জানান। পুলিশ লাইন্স স্কুলটি ইভটিজিং ও মাদকমুক্ত সুশৃঙ্খল এবং নির্মল পরিবেশ বলেই অভিভাবকদের বাড়তি কোন চিন্তার কারণ নেই। পুলিশ সুপার শিক্ষকদের সামগ্রিক অবস্থানের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন এবং তাদের যেকোন সমস্যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার নির্দেশ দেন। তাছাড়া পুলিশ লাইন্স স্কুলের যেকোন সহযোগিতার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে বলেও উপিস্থত সকলকে অবহিত করেন। সমাবেশ শেষে স্কুলের ছাত্র-ছত্রী ও পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস রিলিজ