Main Menu

নবীনগরে রাস্তা বন্ধসহ পুকুর ভরাট করে বিল্ডিং নির্মাণ করছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা

+100%-

ষ্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীনগর উপজেলার বড়াইল গ্রামে সরকারী খাস খতিয়ানের পুকুরের অংশের জায়গা অবৈধ পন্থায় দখল করে প্রভাবশালী ৪ ব্যক্তি জন চলাচলের রাস্তা বন্ধসহ বসতবাড়ির দালান ভবন (বিল্ডিং) তৈরি করেছে। এতে জন চলাচলে মারাত্মক বিঘœ সৃষ্টি হওয়া সহ সরকারী খাস পুকুরের জায়গা অবৈধ দখলে চলে গেছে। যার প্রেক্ষিতে গ্রামবাসী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরে কোর্ট ফি সংযুক্ত করে দাখিলকৃত অভিযোগ ও আবেদনপত্রে বন্ধ রাস্তা খুলে দেয়ার পাশাপাশি নির্মিত দালানভবন (বিল্ডিং) তদন্ত করে উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে। এর অনুলিপি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার এবং নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল ২৩ মার্চ সোমবার গ্রামবাসীর প্রদত্ত অভিযোগ সম্বলিত আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, নবীনগর উপজেলাধীন বড়াইল ইউনিয়নের অন্তর্গত বড়াইল গ্রামের অধিবাসী প্রভাবশালী ৪ ব্যক্তি মৃত লাল মিয়ার পুত্র মমিনুল ইসলাম, নুরু মিয়ার পুত্র ড. কামাল উদ্দিন, ফজর মিয়ার পুত্র জয়নাল আবেদীন ও হারুন মিয়ার পুত্র রতন মিয়া নবীনগর উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এবং গোসাইপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে বিশেষ কৌশলে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বড়াইল মৌজার খতিয়ান নং ১, দাগ নং সাবেক ৯৭৯, বি.এস নং-১৫৭২ এ অবস্থিত ৬২ শতক খাস পুকুরের পশ্চিম অংশে পুকুরের ভিতরের স্থান ভরাট করে জন চলাচলের রাস্তা বন্ধসহ বসত দালান (বিল্ডিং) ঘর বাড়ি নির্মাণ করেছে। আর এই অপকর্মে তাদেরকে সহযোগিতা দিয়েছে উক্ত খাস পুকুরের বর্তমান ইজারাদার বিভিন্ন অপকর্মের হোতা বাবলু মিয়া। জন চলাচলের সরকারী খাস খতিয়ানের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় চলাচলে মারাত্মক বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে, যা তদন্তে প্রমাণিত হবে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হলে উনারা সরেজমিন পরিদর্শন করার পরও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। আবেদনে তদন্ত সাপেক্ষে খাস খতিয়ানের বন্ধ করা রাস্তা খুলে দেয়াসহ সরকারী পুকুর ভরাট করে নির্মিত দালানভবন (বিল্ডিং) উচ্ছেদ করার ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়েছে।






Shares