Main Menu

অনিরাপদ খাবার খেয়ে বিশ্বে বছরে ২০ লক্ষ লোক ২শ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে-জেলা প্রশাসক

+100%-

বর্ণাঢ্য র‌্যালী আলোচনা সভায় কৃষক পর্যায়ে খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন হতে শুরু করে ব্যবসায়ী পর্যায়ে সরবরাহ সংরক্ষণ এবং ক্রেতার হাতে বিপনন বা বিক্রি পর্যন্ত বিষাক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক পদার্থের ভেজাল মিশানো থেকে নিরাপদ ও খাদ্যের পুষ্টি বজায় রাখাসহ নিজেদের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার প্রতি গুরুত্বারোপের মাধ্যমে গতকাল ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সমূহের সহযোগিতায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০১৫ উদযাপিত হয়েছে।
কর্মসূচী অনুসারে সকালে জেলা সদর হাসপাতাল অঙ্গন হতে জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এর নেতৃত্বে পুলিশ সুপার, পৌর মেয়র, সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা, সেবিকা, সাংবাদিক, স্কাউটস্, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বদেশি, ভরসা, মেরী স্টোপস, সূর্যের হাসি ক্লিনিক, ব্র্যাক, র‌্যাপ, এসএসকেএস, শাপলা সদস্যদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণ সরোদ মঞ্চে “নিরাপদ পুষ্টিকর খাবার- সুস্থ জীবনের অঙ্গীকার” বিষয়ক আলোচনা সভা সিভিল সার্জন ডাঃ হাসিনা আক্তার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান পিপিএম (বার), পৌরসভার মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা শাখা বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপ পরিচালক অরবিন্দ দত্ত। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নাজবাহুল ইসলাম। সভা সঞ্চালনা করেন মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আবদুল কাদির। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বদেশি’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আজিজুর রহমান, ব্র্যাক এর প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য মানুষের খুবই মৌলিক বিষয়ক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন) এর জন্মলগ্ন হতেই এ বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দিবস উদযাপনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হতে প্রতি বছর বিষয় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়টিও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে সারা বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য। তিনি আরও বলেন, এই জিনিষটি নিয়ে ভাবতে হবে যে আমরা কোন্ জায়গায় নিরাপদ খাদ্য পাব। জেলা প্রশাসক বলেন, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, কাঁচা ও রান্না করা খাদ্য আলাদা রাখা, সঠিকভাবে রান্না করা, নিরাপদ তাপমাত্রায় খাদ্য সংরক্ষণ করা, নিরাপদ পানি এবং খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করার ৫টি পদ্ধতি অনুসরণ করার পাশাপাশি কৃষক কর্তৃক খাদ্য উৎপাদন হতে শুরু করে সংরক্ষণ, ব্যবসায়ীর নিকট সরবরাহ (বিপনন) করা এবং ক্রেতার হাতে পৌছানো পর্যন্ত শাকসবজি, মাছ, ফল প্রভৃতি কীটনাশক ও রাসায়নিক পদার্থের ভেজাল মিশানো থেকে বিরত রাখতে হবে তবেই আমরা নিরাপদ পুষ্টিকর খাবার পাব। আর প্রত্যেকে নিজ এলাকার পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, তবেই সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, অনিরাপদ খাবার খেয়ে বিশ্বে বছরে ২০ লক্ষ লোক ২শ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। তাই অনিরাপদ খাবারের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।প্রেস রিলিজ






Shares