আশুগঞ্জে খাদ্য গুদামে চাল সংগ্রহে অনিয়ম ::রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ জেলা খাদ্য কর্মকর্তা
প্রতিনিধি॥ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ খাদ্য গুদামে সরকারি চাল সংগ্রহের নামে কমিশন বাণিজ্য নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক গুলোতে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কিছুই জানে না জেলা খাদ্য কর্মকর্তা। কমিশন বাণিজ্য এখনো চলছে আশুগঞ্জ খাদ্য গুদামে। নিরব ডাকাতির মত মিল মালিক আর খাদ্য গুদামের কর্মকর্তারা মিলে চালিয়ে যাচ্ছেন চাল সংগ্রহে কমিশন বাণিজ্য। এ বিষয়ে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা বারাবার জানালেও তিনি না জানলে ও সাথে সাথে সাংবাদিকের পরিচয় সর্ম্পকে আশুগঞ্জ খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা ও প্রভাবশালি মিল মালিকদের জানাতে তিনি ভুল করেন না।
জানা যায় ধান চাল সংগ্রহের অন্যতম মোকাম হিসাবে পরিচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ খাদ্য গুদাম। সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমান ধান ও চাল সংগ্রহ করে থাকে এই গুদাম থেকে। বর্তমানে চলছে আমন মৌসুমের চাল সংগ্রহ। সরকার এবার ৬ হাজার ৬শ মেট্রিক টন সরকারি ভাবে চাল সংগ্রহ করছে আশুগঞ্জ খাদ্য গুদাম থেকে। চাল সংগ্রহ পুরো কার্যক্রম চলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। মিল মালিক আর খাদ্য গুদামের কর্মকর্তারা মিলেমিশে চলে চাল সংগ্রহ অভিযান। এতে সরকারের ক্ষতি হয় মৌসুমে কয়েক কোটি টাকা। লাভবান হয় মিল মালিক আর খাদ্য গুদামের কর্মকর্তারা। এমন নিরব ডাকাতি চলছে বছরের পর বছর। মাঝে মধ্যে কেউ সংবাদ প্রচার করলে চলে ম্যানেজ প্রক্রিয়া। আর স্থানীয় সাংবাদিক সংবাদ করলে চলে প্রভাবশালি মিল মালিকদের চাপ ও ম্যানেজ প্রক্রিয়া। ফলে প্রতিবারই ম্যনেজ প্রক্রিয়া দিয়ে শেষ হয় ধান চাল সংগ্রহ অভিযান। চলতি সাপ্তাহে অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ভৈরব থেকে প্রকাশিত দৈনিক গৃহকোন প্রত্রিকার আশুগঞ্জ প্রতিনিধি তসলিম হোসেনকে লাঞ্চিত করে আশুগঞ্জ খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা গিয়াস পাটোয়ারি। এসময় তিনি মিল মালিক উবায়দুল্লাকে ডেকে নিয়ে সাংবাদিক তসলিমকে মারধর ও পিটিেিয় আহত করে। তা ও জানেন না জেলা খাদ্য কর্মকর্তা। পরে বিষয়টি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক মো. হানিফ মুন্সির আশুগঞ্জ বাজারের অফিসে মিল মালিকদের উদ্যোগে বিষয়টি শেষ হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে এ বিষয়ে কারা কারা জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন তা আশুগঞ্জের মিল মালিক আর খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেন জেলা খাদ্য কর্মকর্তা। ফলে কর্মকর্তা আর মিল মালিক মিলমিশে চলছে কমিশন বাণিজ্য। একটি গোপন সূত্র নিশ্চিত করেছে বর্তমান আমন মৌসুমে বর্তমান জেলা খাদ্য কর্মকর্তা কমিশন বাণিজ্য ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫০ পয়সা করেছেন। এতে মিল মালিকরা অপরাগতা প্রকাশ করলে বেশ কিছু দিন চাল সংগ্রহ বন্ধ ছিল। পরে মিল মালিকরা জেলা খাদ্য কর্মকর্তার কথায় রাজি হওয়ায় প্রতি কেজিতে ৫০ পয়সা কমিশনে চাল সংগ্রহ শুরু হয়।
আশুগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গিয়াস পাটোয়ারি জানান সাংবাদিকের সাথে ঘটনাটি শেষ হয়েছে। আর কমিশনেন ব্যাপারে তিনি বরাবরের মতই অস্বীকার করেন । আর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা রেজা মো. মহসিন আবারও জানিয়েছেন জানান আমার জানা নেই। খাদ্য গুদামে কিছু হলে অব্যশই আমাকে জানাবেন।